
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৪ সালের ২৬শে মে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা ২৭২ টন সার নষ্ট হওয়ার দীর্ঘ ১৮ মাস পর অবশেষে ধ্বংস করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল নগরীর ত্রিশ গোডাউন এলাকার বাফা কার্যালয়ের পাশে প্রায় ৫ হাজার ৬৪০ বস্তা সার মাটি চাপা দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নষ্ট হওয়া এই সারের আনুমানিক মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
সার ধ্বংস কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বরিশাল অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক আসাদুজ্জামান, বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাফীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় তাদের গুদামে প্রায় ১ ফুট পানি উঠেছিল। পানির কারণে সারগুলো অকার্যকর হয়ে যায় এবং কৃষি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত সার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার মতো কোনো উপায়ও ছিল না। ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর সার ধ্বংসে কেন এত দেরি হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও নির্দেশনা সময়মতো না পাওয়ায় ধ্বংস করতে বিলম্ব হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাফী বলেন, “দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের জন্য বরাদ্দ হওয়া সার ঘূর্ণিঝড়ের সময় নষ্ট হয়ে যায়। এগুলো দীর্ঘদিন গুদামে পড়ে ছিল। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা না থাকায় এত দিন ধরে ধ্বংস করা হয়নি। অবশেষে নির্দেশনা পাওয়ার পর আজ সেগুলো মাটি চাপা দেওয়া হলো।
এদিকে কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, এমন বিলম্ব কৃষি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতাকে প্রকাশ করে। একইসঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় সরকারি বিপুল অর্থ অপচয় হয়েছে বলেও অনেকেই মন্তব্য করেন।