গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল বহুমুখী উন্নয়নের জোয়ার বইছে। গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীর দুই উপজেলার মানুষের চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিন্তে, অক্সিজেন সিস্টেম, ডেঙ্গু ও টাইফয়েড ওয়ার্ড বৃদ্ধি, দুইটি পরিত্যক্ত ওয়ার্ড সংস্কার ও চালুকরণ, জরুরী বিভাগের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন, জরুরী বিভাগে কর্মরত ডিউটি ডাক্তারদের কক্ষসমূহ টাইলসকরণ ও সংযুক্ত টয়লেট স্থাপন, জরুরী বিভাগের কর্মরত স্টাফদের জন্য টয়লেট নির্মান, জরুরী বিভাগে লোডশেডিং এ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি আই,পি,এস স্থাপন, অন্তঃ বিভাগে লোডশেডিং এ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি আই,পি,এস স্থাপন (ব্যাক্তিগত উদ্যোগে), হাসপাতালের চারপাশে নিরাপত্তার জন্য ৩২ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন, হাসপাতালের সামনে ও পিছনে ২টি ডিজিটাল সাইন বোর্ড স্থাপন, হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের টেস্টের পরিমান বাড়ানো, হাসপাতালের ঔষধের পরিমান বিগত বছরের তুলনায় বৃদ্ধিকরণ, এনসিডি কর্ণারের মাধ্যমে হাসপাতালে আগত ডায়াবেটিস ও প্রেশারের রোগীদের ডিজিটাল সেবা প্রদান, নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে অতিরিক্ত ২ জন সুইপার নিয়োগ করা হয়েছে। হাসপাতালের সামনে দিনের বেলা গাড়ীর ভীড় নিয়ন্ত্রনের জন্য একজন লোক নিয়োগ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে।
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি, পরিষ্কার পরিছন্নতা বৃদ্ধি, পুরাতন এবং নতুন ভবনের বিভিন্ন রিপেয়ারিং রং এর উন্নয়নের ছোঁয়া, রোগীদের জন্য ওয়াশরুম বৃদ্ধি করা ও টাইলস নির্মান, হাসপাতালে আধুনিক ডাস্টবিন নির্মাণ করা, মোবাইলে জরুরী অভিযোগ নম্বর সহ, সিসি ক্যামেরার আওতায় দালালমুক্ত করণে অবদানে ভ‚মিকা রাখছেন হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মেজবাহউদ্দিন।
তার এবং ডাক্তার সহ নার্সদের নিয়ে তিনি এ কর্মপরিকল্পনা করে হাসপাতালকে একটি আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তর করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল বহুমুখী উন্নয়নের মাধ্যমে নানামুখী সমস্যার সমাধান দেখে দুই উপজেলার মানুষ সকলেই খুশি বলে জানান, হাসপাতালের ডাক্তার মেজবাহউদ্দিন (ইউএইচএফপিও)।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সামনের গেইটের দোকানদার সন্তোষ দাস বলেন, বিগত বছরের তুলনায় বর্তমানে হাসপাতালে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ডা. মেজবাহউদ্দিন স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। পাশের ফার্মেসীর দোকানদার চন্দন দাস, মস্তফা মিয়া, মিন্টু দাস বলেন, আগের মত হাসপাতালে এখন আর কোন দালাল ঢুকতে পারে না।
এতে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে। আমাদের হাসপাতালে ডা. মেজবাহউদ্দিন স্যারের মত নিবেদিত ডাক্তার প্রতিটি হাসপাতালে থাকলে রোগীদের ভোগান্তি কমে যাবে। তাই স্যারকে আমাদের হাসপাতালেই সবসময় দেখতে চাই। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মেজবাহউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে দুই উপজেলার মানুষ যাতে সুন্দর পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দ্রæততম সময়ের মধ্যে পেতে পারে সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি বাকিটা আল্লাহ তায়লার উপর। এ সময় তিনি আরো বলেন, এখানে সাধারণ রোগীদের কথা চিন্তা করে ৩টা মূল্যে টিকিটের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে ডেঙ্গুর উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২৭৫ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতাল এখন দালালমুক্ত করার কারণে কিছু কুচক্রী মহল হাসপাতালের উন্নয়ন বন্ধ করতে এবং মানুষের সেবা প্রদানে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.