নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে বিআইডব্লিউটিএর জমি ও পারিবারিক সম্পত্তি ভোগদখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পোর্ট রোড মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোর্ট রোডের ‘মায়ের দোয়া হোটেল’-এর মূল মালিক ছিলেন মৃত আদম আলী সিকদার।
জীবদ্দশায় তিনি বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে প্রতিবছর রিসিভ কেটে লিজ নিয়ে, নিজস্ব ১ শতক জমির সঙ্গে লিজের সরকারি জমি যুক্ত করে হোটেল পরিচালনা করতেন।
তবে তার মৃত্যুর পর তার কোনো সন্তান আর লিজ নবায়ন করেননি। মৃত আদম আলীর মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া জমি ও রাস্তা সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএর জায়গা নিয়ে বড় ছেলে আনিস সিকদার এবং আদম আলী হাজী দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
বঞ্চিত মা ও ভাইবোনদের অভিযোগ, আনিস সিকদার টাকা ও প্রভাব খাটিয়ে তাদের পিতার সম্পত্তি ও সরকারি জমি আত্মসাৎ করে ভোগদখল করছেন।
সম্পত্তিতে ন্যায্য অংশ দাবি করায় তিনি বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। পিতার সম্পত্তি ফেরত চাওয়া ও হয়রানির প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে মরহুম আদম আলী সিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের উদ্যোগে পোর্ট রোড মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে মা ও অন্যান্য ভাইবোনেরা হোটেলের সামনে অবস্থান নিলে, আনিসসহ ১০–১৫ জন এসে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ও তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এতে বৃদ্ধা মা ও কয়েকজন আহত হন। ঘটনার সময় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে টহলরত স্টিমার ঘাট পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে দুই পক্ষকেই থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্টিমার ঘাট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষের মধ্যে জমি ও মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
কার কী কাগজপত্র ও বৈধ মালিকানা আছে তা যাচাইয়ের জন্য দুই পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মৃত আদম আলী সিকদারের পরিবারে জমি ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে, যা সম্প্রতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.