ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ক্যারিয়ারটাই ধ্বংস হয়ে গেল পাকিস্তানের সাবেক আম্পায়ার আসাদ রউফের। ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে এখন তিনি। পাকিস্তানের লাহোর শহরে জুতা বিক্রি করছেন তিনি। এভাবেই সংসার চালান। নিজের ব্যবসা নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, ক্রিকেটের কোনো খবরই রাখেন না রউফ।
ব্যবসাতেই সব মনোযোগ তার। বাবর আজমদের কৃতিত্বের কিছুই জানা নেই তার। কে বলবে, ক্যারিয়ারে সব সংস্করণ মিলিয়ে ১৭০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন এই ব্যক্তি।
লাহোরের লান্ডাবাজারে পুরনো জুতার সঙ্গে কমদামে পুরনো কাপড়ও বিক্রি করেন আসাদ রউফ।
ব্যবসার বিষয়ে সাবেক এ আম্পায়ার বলেন, ‘কর্মচারীদের জন্য এসব বিক্রি করছি। যেন ওদের সংসার চলে। আর যা-ই করি না কেন, সেটির সর্বোচ্চ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করি। তাই ক্রিকেটের মতো দোকানদার হিসেবেও শিখরে পৌঁছাতে চাই।’
ক্রিকেট আর দেখেন না সে কথা নিজেই জানালেন আসাদ রউফ। বললেন, ‘জীবনে বহু ম্যাচে আম্পায়ার ছিলাম। তাই নতুন করে দেখার কিছু নাই। ২০১৩ সালের পর থেকে ক্রিকেটের কোনো খবর রাখি না। একবার যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি, তাকে সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করি।’
কি ঘটেছিল ১৭০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করা আম্পায়ারের সঙ্গে যে তার জীবন থেকে ক্রিকেটই হারিয়ে গেল।
২০১২ সালে আসাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন মুম্বাইয়ের এক মডেল। ওই মডেলের দাবি ছিল, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসাদ তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। যদিও সেই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছেন আসাদ।
তবে সে ঘটনায় আসাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হলেও আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শেষ হয়নি। ২০১৩ সালে আবার বিপাকে পড়েন আসাদ।
অভিযোগ ছিল, জুয়াড়িদের দামি উপহার ও টাকার বিনিময়ে ফিক্সিং করেছিলেন ম্যাচে। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক বোর্ড (বিসিসিআই) ২০১৬ সালে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।
এর র আর ক্রিকেটে ফেরা হয়নি আসাদের। এর পরে আর কোনো ম্যাচে আম্পায়ারিং করেননি তিনি।
এ প্রসঙ্গে আসাদ রউফ বলেন, ‘জীবনের সুন্দর মুহূর্ত কেটেছে আইপিএলে। এ নিয়ে এখন আর কিছু বলতে চাই না। বিসিসিআই নিজেরাই অভিযোগ করেছিল এবং তারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’
তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :