নিজস্ব সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর বাউফলের আলোচিত সেই বকটি অবমুক্ত করা হয়েছে। তবে অবমুক্তির পরও এটি একই জায়গায় স্থির অবস্থায় রয়েছে।
দুপুর ২টার দিকে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাউফল উপজেলার সূর্যমণি ইউনিয়নের নুরাইনপুর বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘বকের বাড়ি’তে বকটিকে অবমুক্ত করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে বরিশালের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ - বরিশাল ক্রাইম ট্রেস ডটকম এ গত সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ইং তারিখে বাউফলে বাজারের কোলাহল ছাপিয়ে দোকানির সঙ্গে বকের বন্ধুত্ব নামে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে ...
জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে ‘বকের বাড়ি’ নামে পরিচিত নুরাইনপুর বাজারসংলগ্ন খানবাড়ির একটি বকের বাসা থেকে চার মাস আগে হওয়া ঝড়ের সময় একটি বকের ছানা পড়ে যায়। তখন একটি গুইসাপ সেটিকে আক্রমণ করলে স্থানীয় ব্যবসায়ী হেমায়েত উদ্দিন এগিয়ে এসে সেটিকে উদ্ধার করেন।
এরপর যত্নে পরিচর্যা করে নিজের সন্তানের মতো বকের ছানাটিকে সুস্থ করে তোলেন তিনি।
পরে বকটি দোকানের সামনে ও ভেতরে প্রায়ই অবস্থান করত। দোকানদারের সঙ্গে এমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দৈনিক জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এলে বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তারা হেমায়েত উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তারা জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় কোনো বন্য পাখিকে দীর্ঘদিন গৃহপালিত অবস্থায় রাখা যায় না।
অবমুক্তির পর থেকেই বকটি খাবারে অনীহা দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তাদের ভাষ্য, “বকটি যেন নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। দোকানদার হেমায়েতের সঙ্গে তার যে সম্পর্ক ছিল, সেটির অভাব বোধ করছে বলে মনে হয়।
এ বিষয়ে দোকানদার বরিশাল ক্রাইম ট্রেস’কে মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আমি আইনকে শ্রদ্ধা জানাই। বন বিভাগের কর্মকর্তারা মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর আমার কাছে আসেন। আমি বকটিকে নিয়ে বাউফলে যাই। সেখানে অবমুক্ত করার চেষ্টা করলে সেটি উড়তে চায়নি। পরে ‘বকের বাড়ি’তে নিয়ে গেলে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের হাতে বকটিকে তুলে দিই। তারা সেটিকে অবমুক্ত করেন। যেখান থেকে এটি আহত হয়েছিল, ঠিক সেই গাছেই সেটিকে অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত কিছু খায়নি। আমার খুব কষ্ট লাগছে। আমার কাছে থাকলে নিয়মিত খাওয়াতে পারতাম। আরেকটু বড় হলে অবমুক্ত করলে ভালো হতো।
এ বিষয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা বদিউজ্জামান খান বরিশাল ক্রাইম ট্রেস’কে বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমার নজরে আসলে আমি নুরাইনপুর ঘটনাস্থলে যাই। বকটি যেহেতু নির্দিষ্ট স্থানে লালন-পালন করা হচ্ছিল, তাই অন্য কোথাও অবমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ‘বকের বাড়ি’তে যেহেতু আরও বকসহ বিভিন্ন পাখি রয়েছে, তাই সেখানেই বকটিকে অবমুক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, “বকটি অবমুক্তির দিন থেকে কিছু খায়নি—এ বিষয়ে আমি মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। সমস্যা হচ্ছে, বকটিকে নিয়ে লালন-পালনের কোনো সুযোগ নেই, এটি আইনে নিষিদ্ধ। গাছটির আশপাশে বকটির জন্য খাবার রাখার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.