নিজস্ব প্রতিবেদক : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না হওয়া সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দেড় শতাধিকেও বেশি পরিবার। এতে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন ওই এলাকার নারী-পুরুষ ও শ্রমজীবী মানুষ।
সরেজমিনে, রবিবার গিয়ে দেখা গেছে সড়কের বেহাল দশা ও সংযোগ সড়ক না হওয়ার ওই পথে ছোট ছোট যান চলাচলও বন্ধ। এতে জরুরি অবস্থায় বিপাকে পড়ছেন স্থানীয়রা। উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের দক্ষিন খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকায় ১১মিটার সেতুর চিত্র এটি। গর্ত করে রাখার প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিচ্ছেন না কোন খোঁজ। এদিকে রাস্তা না থাকায় প্রতিনিয়ত নানাবিধ সমস্যার মধ্যে পরতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকার মানুষের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করে দিলে আমরা স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারবো।
জানা গেছে, দুর্যোগ ও ত্রাণ দপ্তরের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৭ টাকা ব্যয়ে ১১ মিটার সেতুর কাজটি পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুড়িগ্রাম কাঠালবাড়ি নুসরাত জাহান। চলতি বিল প্রদান করলেও চূড়ান্ত বিল দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস।
স্থানীয় বাসিন্দা বিলকিস বেগম জানান, দীর্ঘদিন থেকে এই ব্রিজ টি অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় পড়ে আছে। মাঝেমধ্যে এলাকার কোন গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে খুব সমস্যায় করতে হয়। এছাড়াও একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। তখন ছেলে মেয়েদের স্কুল যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
আমজাদ হোসেন বলেন, বছরখানিক আগে সেতুর কাজ শেষ হলেও সামনে গর্ত করে রেখেছে মাটি ভরাটের জন্য। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এই অবস্থা। এখন সেতু দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। সেতুর নিচ দিয়ে পারাপার হতে হয়। গাড়ি তো চলে না। কেউ অসুস্থ হলে বিপদ আরও বেশি হয়।
চিলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. সোহেল রহমান জানান, সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা চলে আসায় মাটি ভরাট করা হয়নি, দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.