প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ৯:০৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৭, ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
বরগুনার তালতলীতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

কাওসার হামিদ,তালতলী,বরগুনা। বরগুনার তালতলীতে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী নিজেই নিজের মাথায় আঘাত করে সৎ ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন এমন অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মামলার স্বাক্ষীরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হলেও মরিয়মের মাথায় কাউকে আঘাত করতে দেখিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার জয়ালভাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এলাকার প্রায় তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙ্গা গ্রামের মৃত আমজেদ ফরাজীর ছোট স্ত্রীর মেয়ে মরিয়ম বেগম দীর্ঘদিন ধরে তারই সৎ ভাই নাসির ফরাজী, সেলিম ফরাজী ও চুন্নু ফরাজীর সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি ওই জমি’র সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এই সুযোগ নিয়ে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর মরিয়ম বেগম নিজেই নিজের মাথায় আঘাত করে নাটক সাজিয়ে তিন ভাইসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে একাবাসী মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মরিয়ম বেগম পরিকল্পিতভাবে নিজের মাথায় আঘাত করে ভাইদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করেছেন। এতে নিরপরাধ মানুষ আইনি হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
একজন নারী হওয়ার সুযোগ নিয়ে তিনি বারবার ভুয়া অভিযোগ তুলে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। প্রশাসনের প্রতি আমাদের একটাই দাবি— বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে এই সাজানো মামলার সত্যতা যাচাই করা হোক। একই সঙ্গে নির্দোষ পরিবারকে হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
মামলার প্রধান সাক্ষী মারজিয়া বেগম বলেন,আমি মরিয়মের চিৎকার শুনে তার ঘরে যাই। দেখি সে বোকরা পড়ে ও বলছে‘ওরা ছাড়বে না’। কিন্তু আমি কাউকে তাকে মারতে বা আঘাত করতে দেখিনি। তার শরীরে বা মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্নও দেখিনি তখন। যদিও দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছি।
অন্য সাক্ষী কহিনুর বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমি কিছুই জানি না। পরে গ্রামের মানুষজনের মুখে শুনেছি মামলা হয়েছে। সেখানে আমাকে স্বাক্ষী রাখা হয়েছে। মরিয়মের মাথায় কেউ কোপ দেয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী জাকির ফরাজী বলেন,দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মরিয়মের মাথায় কেউ আঘাত করেনি। এটি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। এই মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা হোক।
মামলার আসামী নাসির ফরাজী বলেন,আমার সৎ বোন মরিয়ম বেগম জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে বিরোধের জেরে কিছুদিন আগে তর্কবিতর্কের পর নিজেই নিজের মাথায় আঘাত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এই মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি সুষ্ঠু তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করা হোক।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.