নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে।
জেলে আবদুল মান্নান বলেন, এফবি ভাই ভাই ট্রলারে করে তিন দিন আগে তাঁরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। তিনি জাল ফেললে অন্য মাছের সঙ্গে এই মাছ উঠে আসে।
আজ শনিবার সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্যবন্দরের ফয়সাল ফিশ আড়তে বিক্রির জন্য আনা হয়। এ সময় মাছটি একনজর দেখতে মানুষের ভিড় জমে যায়। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ফয়সাল ফিশ আড়তের ব্যবসায়ী রাজু মিয়া জানান, মাছটি ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। তবে বেশি দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। মাছটির বায়ুথলির অনেক দাম বলে তিনি শুনেছেন। সে কারণে চট্টগ্রামে নিয়ে মাছটি ভালো দামে বিক্রির আশা তাঁর।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিপুর বন্দরে আজ এমন এক মাছ উঠেছে, যা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে খবর শুনে তিনি দেখতে এসেছেন।
উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশ। তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইকোফিশ বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান বলেন, কালো পোয়া একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০–১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন ১০–২৫ কেজি হলেও কখনো কখনো ৫০ কেজির বেশি হতে পারে। কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এ মাছ দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।
কলাপাড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মাছটির এয়ার ব্লাডার (বায়ুথলি) আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামি। একে ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকারও বলা হয়। সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফলেই এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে জেলেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.