নিজস্ব প্রতিবেদক : আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ফাজিল তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় ৯ জন পরীক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে আট জন মেয়ে ও একজন ছেলে। পরীক্ষা কেন্দ্রে এত পরীক্ষার্থী বহিষ্কারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭৮ জন ফাজিল তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত ২৫ অক্টোবর পরীক্ষা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়ম চলে আসছে। কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার ফ্যাসিলেটেটর মো. মাইনুল ইসলাম ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়ম হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকেরা। শনিবার বিকেলে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের মেয়েদের কক্ষে ওই মাদ্রাসার ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক জাকিয়া বেগমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা পরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। মেয়েদের কক্ষের পরীক্ষার্থীদের বই খুলে পরীক্ষা দিতে দেখেন তিনি। পরে তিনি নয়জনকে বহিষ্কার করেছেন। নয়জনের মধ্যে আটজন মেয়ে এবং একজন ছেলে পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রে এত পরীক্ষার্থী বহিষ্কারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই কেন্দ্রের মেয়েদের কক্ষ পরিদর্শক প্রভাষক জাকিয়া বেগমকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন—জান্নাতি, তানিয়া, মাহফুজা, তানিয়া, সাদিয়া, জুলেখা, রুমা, লামিয়া ও জাকারিয়া।
কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার ফ্যাসিলেটেটর মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, “মেয়েদের কক্ষ থেকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেও মেয়েদের তো চেক করতে পারি না।
আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুচ আলী হাওলাদার বলেন, “উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকস্মিক পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে পরীক্ষার্থীদের বই খুলে পরীক্ষা দিতে দেখেন। পরে তিনি ৯ জনকে বহিষ্কার করেছেন।” ‘ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষায় ওই বিষয়ের শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন এটা কি যৌক্তিক কিনা?’—এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, “পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে নয়জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কক্ষ পরিদর্শক জাকিয়া বেগমের বিরুদ্ধে আদেশ অমান্য ও নকলে সহায়তা করায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র সচিবকে আগামী পরীক্ষায় পরিবর্তন করা হবে।জামায়াত নেতার বাড়িতে আগুন
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.