নিজস্ব প্রতিবেদক : মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগলি) এক অভাগিনী নারী আরেক অভাগিনী রাজকন্যার জন্ম দিয়েছেন স্কুলের ফ্লোরে। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া রাজকন্যাকে।
তবে দয়াবান মানুষের দয়ায় রক্ষা পেল অভাগিনী বাবাহীনের জীবন। হাসপাতালে ভর্তি রাজকন্যার নিষ্পাপ চোখের জল যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে তার ভবিষ্যৎ পরিচয় আর বেঁচে থাকার শঙ্কার কথা। ঘটনাটি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার।
স্থানীয় মো. কাজী নিয়াজ জানান, বেশ কিছুদিন ধরে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় গর্ভবতী অবস্থায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। বুধবার দিবাগত রাতে ওই পাগলি বিদ্যালয় কাম-সাইক্লোন শেল্টারের নিচতলায় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনিসহ স্থায়ীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখেন, পাগলি বাচ্চা শিশুটিকে কখনো জুস ও কখনো পান খাওয়াচ্ছেন এবং গলাটিপে ধরাসহ মারধর করছেন। সর্বশেষ যখন দেখলেন মা তার সন্তানকে পানিতে চুবিয়ে মারতে চাইছেন তখন তিনিসহ স্থানীয়দের সহায়তায় দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাদের পরিবারের কোনো খোঁজ মেলেনি।
হাসপাতালে উপস্থিত কয়েকজন জানান, ওই পাগলি মাকে তারা দীর্ঘদিন ধরে দশমিনায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন।
এদিকে, সদ্য জন্ম নেওয়া রাজকন্যাকে দত্তক নিতে হাসপাতালে অনেকেই ভিড় করেছেন।
দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক মো. রাহুল বিন আলিম বলেন, হাসপাতালে আনার পর মাকে কিছুটা অসুস্থ লাগছিল। এখন একটু সুস্থ। তাদের চিকিৎসা চলছে।
দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। এ বিষয় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :