স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা : দুই দফা নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভোলার রাজাপুর, মনপুরা ও চরফ্যাশনের প্রায় ২০ কিলোমিটার কাচা-পাকা সড়ক এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারী, এলাকাবাসী ও যানবাহন চালকরা।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন রাজাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। সেখানেই সড়কের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতির প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নেই সংস্কারের কোনো উদ্যোগ। এতে স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
তবে খুব দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তারা। সরেজমিন দেখা গেছে, রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার-কন্দকপুর সড়কের বেহাল দশা। পুরো ৩ কিলোমিটার সড়কের কোথাও বড় গর্ত, কোথাও বিধ্বস্ত আবার কোথাও পুরো রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে এ সড়কটি সংস্কার করা হলেও জোয়ারের চাপে সেটি আবারও ক্ষতিহগ্রস্ত হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলেও থেকে গেছে সেই দুর্যোগের ক্ষতচিহ্ন। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়কগুলো এখন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এসব সড়ক দিয়ে চলতে পারছে না কোনো যানবাহন। মালামল বা যাত্রীবাহী পরিবহন চলতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি থাকায় এলাকাবাসীর যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। এমন দুর্ভোগ থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে কিছু স্থানে সড়কে সাকো নির্মাণ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই জানান, সড়ক দিয়ে এখন কোনো যানবাহন চলতে পারছে না। বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। কন্দপুর পয়েন্ট দিয়ে পুরো রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের সুবিধার জন্য এলাকাবাসী একটি বাশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন।
জানা গেছে, দুই দফা জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে ভোলা সদরের রাজাপুর, মনপুরা ও চরফ্যাশনের প্রায় ২০ কিলোমিটার কাচা-পাকা সড়ক এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ ওই সব সড়ক মেরামতের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ভোলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলীল বলেন, জলোচ্ছ্বাসে তিন উপজেলার সড়কের ২০ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা খুব দ্রুত সেগুলো মেরামতের জন্য চেষ্টা করছি। আশা করি শিগগিরই সংস্কার করতে পারব।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :