স্টাফ রিপোর্টার, কাউখালী : কাউখালীর দুই বিদ্যুৎ শ্রমিক ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় এক ঠিকাদারের অধীনে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করতে যান। স্থানীয় শ্রমিক ঠিকাদার রুবেল তাঁদের দৈনিক চুক্তিতে ফরিদপুরের ওজোপাডিকোর কাজ করতে নিয়ে যান। সেখানে গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি বিদ্যুতের পোলে উঠে লাইনের কাজ করার সময় ১১ হাজার কেভি লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে যায়। তাঁরা ছিটকে একটি ভবনের ভেতরে পড়েন। তিন দিন চিকিৎসাধীন থেকে তাঁরা মারা যান।
নিহতরা হলেন—উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর ইসলামের ছেলে রিয়াদ হোসেন (২০) এবং ডুমজুড়ী গ্রামের মো. রহিমের ছেলে মো. শাওন (২০)।
তাঁদের প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, অপরজনকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিন দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে রিয়াদ মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার মারা যান শাওন।
ঢাকা মেডিকেলে শাওনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও রিয়াদের কোনো ময়নাতদন্ত করা হয়নি। গতকাল শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে লাশ আনা হয়। শনিবার ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরই মধ্যে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মরদেহ বাড়িতে আনলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। একমাত্র ছেলে শাওনকে হারিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন মো. রহিম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রুবেল বলেন, ‘লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। প্রথমে দুটি তার জাম্পার করা হলে কোনো সমস্যা হয়নি। তৃতীয় তারে কাজ করার জন্য স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে তাঁরা দুজন বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে যান।’ তবে সরবরাহ বন্ধ থাকলে তাঁরা কীভাবে বিদ্যুতায়িত হলেন এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না রুবেল।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শাটডাউন দেওয়ার পরে বিদ্যুৎ থাকার কোনো সুযোগ নাই। যে কারও দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :