আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শীতকালে জ্বালানি সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। জ্বালানি সরবরাহে উদ্বেগের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম সামান্য বেড়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক চীনে করোনা মহামারির লকডাউনের কারণে জ্বালানি চাহিদা কমে যাওয়ার উদ্বেগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে সুদের হার বৃদ্ধির কারণেও উদ্বেগ বাড়ছে সংশ্লিষ্টদের।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৪৪ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ৫০ সেন্ট অথবা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯৪ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআিই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৫২ সেন্ট অথবা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৩০ ডলার।
এই সেশনের আগে উভয়ের দাম ১ ডলার কমেছিল।
সবশেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ (এসপিআর) আরও ৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ব্যারেল মজুত কমেছে। এর ফলে দেশটির অপরিশোধিত তেলের কৌশলগত মজুত কমে দাঁড়িয়েছে ১৯৮৪ সালের অক্টোবরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন জ্বালানি বিভাগ এ তথ্য জানায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মার্চ মাসে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি মোকাবিলায় এসপিআর থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ব্যারেল ছাড়ার একটি পরিকল্পনা করেছিলেন, যা মুদ্রাস্ফীতিতে অবদান রেখেছে।
বার্কলেসের একজন জ্বালানি বিশ্লেষক অমরপ্রীত সিং লিখেছেন, ‘চাহিদা নিয়ে তীব্র মাথাব্যথা সত্ত্বেও আমরা তেলের দামে গঠনমূলক অবস্থানে রয়েছি’।
ইরান পরমাণু চুক্তি পুনবর্হাল সত্যিই চায় কি না সে বিষয়ে তাদের ‘গুরুতর সন্দেহ’ রয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির। এই চুক্তি না হওয়ার অর্থ, আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের তেলের প্রবেশ আপাতত বন্ধই থাকছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে জ্বালানি তেলের দাম। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। এরপর তেলের দাম ৪০ শতাংশ বেড়ে ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হয়ে উঠবে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: রয়টার্স
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :