ডেস্ক সংবাদ :

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা ১৩ নভেম্বর ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচির আগে নানা ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে বিভ্রান্তিকর নানা দাবিও করা হচ্ছে। পুরোনো কর্মসূচির ভিডিও নতুন দাবি দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, আবার ভিন্ন প্রসঙ্গের ঘটনাকেও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১০ নভেম্বর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, রাস্তায় উত্তেজিত মানুষের সমাবেশ এবং সড়কের পাশে পড়ে থাকা একাধিক মোটরসাইকেল, যার কয়েকটিতে আগুন জ্বলছে।
ঠিকানা ধরে ক্লাসিক অ্যান্ড রক-এর মালিক ফয়সাল আলম চৌধুরী মিন্টুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়। এটি গত বছরের জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের সময়, ৪ আগস্ট দুপুরের পর ধারণ করা।
ফয়সাল আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘তখন আমার দোকান ক্লাসিক এন্ড রক ছিল করিম কুটি মসজিদের উল্টো পাশে, এম এ জলিল সড়কে (নবগ্রাম)। ভিডিওটিতে যে বাইকগুলো পুড়তে দেখা যাচ্ছে, সেগুলো আমার দোকানের সামনে ছিল।
এবিষয়ে প্রথম আলো বরিশাল প্রতিনিধি জানান, ঘটনার ওই স্থান বরিশাল নগরের এম এ জলিল সড়কের (নবগ্রাম সড়ক) করিম কুটির এলাকায়। ঘটনাটি বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাড়ি বেগম ভিলার ফটকের সামনে।
জুলাই আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট বরিশালে ছাত্র–জনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এক পর্যায়ে জাহিদ ফারুক শামীমের বাসভবন বেগম ভিলার সামনে থাকা একাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। পরে উত্তেজিত জনতা সেই বাইকগুলোতে আগুন দেয়।
বরিশালের স্থানীয় মুদিদোকানি হারুন অর রশিদও ভিডিওটি দেখে একই কথা বলেন,‘এটা এই বছরের ঘটনা না, গত বছরের আগস্টের শুরুতে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময়কার ঘটনা।
২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্টের সংঘর্ষ নিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনা টিভি ও মাছরাঙা টিভি যথাক্রমে ‘বরিশালে ব্যাপক সংঘর্ষ; পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রচার করে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ৪ আগস্ট বরিশালের বটতলা নবগ্রাম রোড এলাকায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে থাকা ২০–২৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় নগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। পরে পুলিশ এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সুতরাং ভিডিওটি বরিশালে আওয়ামী লীগের নতুন কোনো কর্মসূচির নয়, বরং গত বছরের ৪ আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানকালীন সংঘর্ষের দৃশ্য।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.