নিজস্ব প্রতিবেদক : সকালে মহিপুর মৎস্য বন্দরের মনোয়ারা ফিশে মাছটি আনা হলে সেটিকে একনজর দেখতে ভিড় জমে যায় বন্দরে। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা গেছে, মাছটির ওজন ৩৭ কেজি এবং বিক্রি হয় ১ লাখ ১১ হাজার টাকায়।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সগির আকন বলেন, ‘এমন মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। তাই দেখতে আমরা সকাল থেকেই বন্দরে এসেছি। শুনেছি মাছটির দাম এক লাখ টাকার বেশি—এটা সত্যিই অবাক করার মতো!
ইকোফিশ বাংলাদেশ-এর গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, ‘কালো পোয়া’ (Protonibea diacanthus) Sciaenidae পরিবারের দুষ্প্রাপ্য এক সামুদ্রিক মাছ। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজির মধ্যে হয়ে থাকে, তবে কখনও কখনও ৫০ কেজিরও বেশি পাওয়া যায়। বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্টমার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এদের দেখা মেলে।
তিনি আরও বলেন, মাছটির বায়ু থলি বা এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন। এটি চীনা ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, এজন্য মাছটির দাম অনেক বেশি।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, ‘বন্দরের জেলেরা ৩৭ কেজি ওজনের একটি দাঁতিনা বা কালো পোয়া পেয়েছেন, এটি অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। এ ধরনের মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, সরকারের জাটকা ও মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা মানার সুফল এখন জেলেরা পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর আলীপুর মহিপুর মৎস্য বন্দরে এ প্রজাতির ৫ টি মাছ বিক্রি হয়েছে। এতে মাছের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য উভয়ই বাড়ছে, যা উপকূলীয় অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.