নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের বাকেরগঞ্জে মাছের বাজারগুলো এখন জাটকা ইলিশে সয়লাব। প্রশাসনের অবহেলায় মাছের বাজারে মিলছে এসব জাটকা ইলিশ।
১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের কম আকারের ইলিশকে ‘জাটকা’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আকারের ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে জেল-জরিমানার তোয়াক্কা করছেন না উপজেলার জেলে ও বিক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি মাছবাজারেই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ছয় থেকে সাত ইঞ্চি আকারের জাটকা ইলিশ। উপজেলার এমএ বাড়ি বাজারে নিলামের মাধ্যমে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জাটকা বিক্রি বন্ধে বাজারগুলোতে মৎস্য অফিস ও প্রশাসনের তদারকি নেই। তাই জেলেরা শিকার করে প্রকাশেই এসব জাটকা হাটবাজারে এনে বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জাটকা বিক্রি হচ্ছে উপজেলার নাকের ডগায় এমএ বাড়ি মাছবাজারে। নদী থেকে মাছ এনে ডালায় ঢেলে ডাক তোলেন আড়তদাররা। ডাকের মাধ্যমে মাছ কিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে বসে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া উপজেলার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পৌর বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বাজারে জাটকা মাছ বিক্রি করতেও দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। তবে এ সময় জাটকা বিক্রি বন্ধে প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
স্থানীয় জেলে নির্মল দাস বলেন, জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা মাছ ধরেন। তারা সেই মাছ বাজারে বিক্রি করেন।
বাকেরগঞ্জ পৌর বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্বাস সরদার বলেন, অন্য মাছ ব্যবসায়ীরাও জাটকা বিক্রি করেছেন। প্রশাসন যদি জাটকা শিকার বন্ধ করে দিতে পারে, তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।
জাহিদ মোল্লা নামে একজন জানান, উপজেলার তুলাতলি, কারখানা, পান্ডব, রাঙামাটি, বিষখালি নদীতে জাটকা শিকার করে স্থানীয় আড়ত ও হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি বছর প্রশাসন কিছু কিছু অভিযান চালালেও এবার এখনো কোনো অভিযান চোখে পড়েনি। দ্রুত জাটকা নিধন বন্ধের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। যখন তখন অভিযান করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি খোঁজ নিয়েছি, নিয়মিত নদীতে জাটকা নিধন ও বাজারে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে। দ্রুতই আমরা হাটবাজারে অভিযান পরিচালনা করব।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি জেনেছি। খুব দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে এবং তা বহাল থাকবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই আট মাস জাটকা আহরণ, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে বড় আকারের ইলিশ ধরতে কোনো বাধা নেই।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.