নিজস্ব প্রতিবেদক ::: রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৭) খুনের অভিযোগে পুলিশি হেফাজতে থাকা আসামি লিমন মিয়ার (৩৬) বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় আদালতে একটি বিবিধ মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সশরীর ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আদালত রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (আরএমপি) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে আদালতে তলব করেছেন। মামলার আগামী ধার্য তারিখ ১৯ নভেম্বর। এর আগেই পুলিশ কমিশনারকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহীর রাজপাড়া থানার আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন। আদালতের পেশকার আমজাদ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ‘গণমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন সংবাদ হতে অত্র আদালতের গোচরীভূত হয়েছে যে ১৩ নভেম্বর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ভাড়া ফ্ল্যাটে অভিযুক্ত লিমন মিয়া কৌশলে প্রবেশ করে তাঁর নাবালক পুত্র তাওসিফ রহমানকে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত ও শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং তাঁর স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
‘পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে দেখা যায়, অভিযুক্ত লিমন মিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকাবস্থায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে বক্তব্য প্রদান করে, যা আয়েশা সিদ্দিকা মিল্লি বনাম রাষ্ট্র ৩৯ বিএলডি ৪৭০সহ বিভিন্ন মামলায় প্রদত্ত মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
‘এ অবস্থায় পুলিশি হেফাজতে থাকাবস্থায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ প্রদান করায় কেন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে সশরীরে এ আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয় বিচারকের ছেলে তাওসিফ। হামলায় আহত হন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিও। এ ছাড়া হামলাকারী নিজেও ধস্তাধস্তিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.