অর্থাভাবে থমকে আছে মসজিদের উন্নয়ন কাজ, মুসল্লিদের দুর্ভোগ


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৮, ২০২২, ৩:৪২ অপরাহ্ণ /
অর্থাভাবে থমকে আছে মসজিদের উন্নয়ন কাজ, মুসল্লিদের দুর্ভোগ

হাসান পিন্টু, লালমোহন : মসজিদের উন্নয়নের কাজে হাত দিয়ে বেকায়দায় আছেন কমিটির লোকজন। উন্নয়ন কাজ করার আগে অনেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি কেউ। তাই এখন থমকে আছে ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলবাগিচা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মোস্তান বাড়ির দরজার জামে মসজিদটির উন্নয়ন কাজ।

জানা যায়, শত বছর আগে আশেপাশের কয়েকটি এলাকার মুসল্লিদের জন্য নির্মাণ করা হয় মসজিদটি। যেখানের মুসলিম মানুষদের জন্য একমাত্র ধর্মীয় উপাসনালয় ছিল এ মসজিদটি। সময়ের সঙ্গে অনেক বদলেছে। বদলায়নি মসজিদটির চিত্র। তাই মসজিদ কমিটির লোকজন স্থানীয় মুসল্লিদের সহযোগিতায় তিন তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে উন্নয়ন কাজ শুরু করে। তবে কাজ শুরু দেড় মাসের মাথায়ই অর্থাভাবে থমকে যায় মসজিদটির উন্নয়ন কাজ। টাকার কাছে এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়েন কমিটির লোকজন।

ইতোমধ্যে স্থানীয় মুসল্লিদের সহযোগিতার ৫-৬ লক্ষ টাকা দিয়ে কিছুটা কাজ করা হয়েছে। তবে এখন অর্থাভাবে বন্ধ রয়েছে কাজ। মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক (নাগর) বলেন, জুমআর নামাজে বর্তমানে এক থেকে দেড়শত মুসল্লি হয় মসজিদে। অন্য ওয়াক্তের নামাজে গড়ে ২০-২৫ জন মুসল্লি হয়। তবে কাজ বন্ধ থাকায় মুসল্লিদের সমস্যা হচ্ছে, ঠিক মত নামাজ পড়া যায় না। বৃষ্টি হলে মসজিদের ভিতরে পানি পড়ে। এতে করে নামাজ পড়তে সমস্যা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মসজিদের উন্নয়ন কাজে হাত দেয়ার আগে অনেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সহযোগিতা করবেন বলে। তবে তারা কেউ কথা রাখেনি। এজন্য বাকি কাজ করতে পারছি না। এখন অন্তত চারপাশের দেয়াল ও ছাদ দিতে পারলে কিছুটা হলেও মুসল্লিদের দুর্ভোগ লাঘব হতো। তাই সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছি মসজিদের এই কাজটুকু শেষ করতে এগিয়ে আসেন সহযোগিতায়।

এব্যাপারে উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার মো. আল-মামুন বলেন, এ জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে কোনো বরাদ্দ নেই। তবে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ধর্মমন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে কিছু বরাদ্দ পাওয়া যায়। মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে সেখানে আবেদন করলে হয়তো তারা সরকারি সহযোগিতা পেতে পারেন।