ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : সাকিব আল হাসানকে বলা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটার প্রাণ। আইসিসির অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান তার। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম ব্যাটিং ও বোলিং ভরসা। সাকিবের জ্বলে ওঠার দিনে জিতে যায় দেশ। তার অতিমানবীয় পারফরমেন্সে এখন পর্যন্ত অনেক ম্যাচেই জয় পেয়েছে টাইগাররা।
সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশ। দলকে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট এবং বল হাতেও সাকিব অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে জ্বলে উঠবেন বলে ভক্ত-অনুরাগীদের বিশ্বাস। এখন পর্যন্ত ১০৪ ম্যাচে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন সাকিব। ১২২.৪৩ স্ট্রাইক রেটে করেন ২১৯৯ রান, গড় ২৩.৯০। এ সংস্করণে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৮৪। টি২০তে তিনি শিকার করেছেন ১২২ উইকেট।
ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া) ॥ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ভাল করতে পারে, এমন পাঁচ ক্রিকেটারের নাম নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছেন গতবারের বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের নাম। সেবার বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত সেই আসরের ৭ ম্যাচে ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ২৮৯ রান। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন ওয়ার্নার। তাই এবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার তুরুপের তাস হতে পারেন এই উদ্বোধনী ব্যাটার।
জস বাটলার (ইংল্যান্ড) ॥ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিটের ট্যাগ গায়ে মাখানো এবার ইংল্যান্ডের। ম্যাচ জেতানোর মতো ক্রিকেটার কিংবা একাই পার্থক্য গড়ার মতো ব্যাটারের অভাব নেই ইংল্যান্ড দলে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জস বাটলার। দলের সাফল্যের জন্য সবচেয়ে জরুরি তার সাফল্য। মূল কারণ দুটি।
প্রথমত, আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত বড় ইনিংসও খেলেন তিনি। লম্বা সময় টিকে থাকা মানে ম্যাচ থেকে প্রতিপক্ষের ছিটকে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, এই দলের নেতৃত্ব এখন তার কাঁধে। ওপেনিংয়ে তার গড় ৪৮.১১। স্ট্রাইক রেট ১৫৩.৩৬। অন্য সব পজিশন মিলিয়ে গড় ২৩.৭১, স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৩৩।
মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান) ॥ এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মাদ রিজওয়ান। আইসিসির ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা এই হার্ড-হিটার ওপেনার গত বছর ২৯ ম্যাচে করেছিলেন ১৩২৬ রান। পাকিস্তান টপ অর্ডারের অন্যতম ভরসার নাম তিনি। গত বিশ্বকাপে ৭০ গড়ে করেছিলেন ২৮১ রান। তাই এবারের বিশ্বকাপেও ব্যাটিংয়ে তার দিকেই তাকিয়ে থাকবে পাকিস্তান।
সূর্যকুমার যাদব (ভারত) ॥ বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তির দেশ ভারত। টি২০ র্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে অবস্থান করছে রোহিত শর্মার দল। বিশ্বকাপেও ফেবারিটের তালিকায় রয়েছে তারা। যেখানে ভারতের ট্রামকার্ড হিসেবে দেখা যেতে পারে সূর্যকুমার যাদবকে। কেননা, সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এই বছর টি২০তে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তিনি। বিশ্বকাপের মূল মঞ্চেও নিজের পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবেন এই ব্যাটার।
কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড) ॥ নিউজিল্যান্ডের টি২০ দলের বর্তমান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। অভিষেকের পর থেকে দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা হয়ে ওঠেন তিনি। টি২০ ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৭৭ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন উইলিয়ামসন। ৩২.২৫ গড় এবং ১২৬.৭৩ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ২০৯৬ রান। ক্রিকেটের এ ক্ষুদ্র সংস্করণে সর্বোচ্চ ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
রাইলি রুশো (দক্ষিণ আফ্রিকা) ॥ রাইলি রুশোকে আবার দক্ষিণ আফ্রিকা দলে দেখা যাবে, কয়েক মাস আগেও তা ছিল অভাবনীয়। বিশ্বকাপ খেলা তো বহুদূর। বদলে যাওয়া প্রেক্ষাপটে সেই রুশোই অস্ট্রেলিয়াতে হবেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন সারথি। টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডারের যে কোনো পজিশনেই তিনি ব্যাট করতে পারেন। পেস-স্পিন, দুটিতেই দারুণ সাবলীল। খেলতে পারেন উইকেটের চারপাশে। টি২০ ক্রিকেটে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি রান তার ১৪২.৯৮ স্ট্রাইক রেটে। ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের অভিজ্ঞতায় বড় নির্ভরতা থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার।
নজিবউল্লাহ জাদরান (আফগানিস্তান) ॥ যে দলে খেলেন টি-টোয়েন্টি বৈশ্বিক মহাতারকা রশিদ খান, যেখানে আছে বিশ্বজুড়ে ব্যাটসম্যানদের ঘোর লাগানো স্পিনার মুজিব-উর-রহমান, সেই দল থেকে অন্য কাউকে বেছে নেওয়া কঠিন। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, আফগানিস্তান দলে রশিদ-মুজিবদের মতোই গুরুত্বপূর্ণ নজিবউল্লাহ জাদরানের পারফর্ম করা। রশিদ-মুজিবই শুধু নয়, নাভিন উল হক, মোহাম্মদ নবিদের নিয়ে আফগানদের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত। কিন্তু সেই বোলিং আক্রমণের জন্য যথেষ্ট পুঁজি তো দিতে হবে! সেখানেই বড় দায়িত্ব জাদরানের। ইনিংসের যে কোনো পর্যায়ে নেমে তা-ব চালাতে পারেন ব্যাট হাতে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :