ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : দীর্ঘদিনের শখ একটা স্মার্টফোনের। প্রতিবেশীর মাধ্যমে অনলাইনে অর্ডারও দেওয়া হয়েছে শখের মুঠোফোনের। কিন্তু টাকা জোগাড় হবে কী ভাবে? সাতপাঁচ না ভেবে নিজের রক্ত বিক্রি করে ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেয় কিশোরী। রক্ত বিক্রি করতে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে পৌঁছেও যান তিনি। কিন্তু ১৭ বছরের একটি মেয়ে ‘রক্তদান’ করতে এসেছে দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতালের কর্মীদের। শেষে তাকে আটক করে তুলে দেওয়া হয় চাইল্ডলাইনের হাতে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) এই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে।
দেশটিতে আইনত রক্ত বিক্রি নিষিদ্ধ। কিন্তু কিশোরীর রক্ত বিক্রি করার কারণ শুনে চমকে যান হাসপাতালের কর্মীরা। চাইল্ডলাইনের কর্মীদের মাধ্যমে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীর বাড়িতে খবর পৌঁছায়। পরে চাইল্ডলাইনের তরফে চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের কাছে ওই নাবালিকাকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার মেয়ের সঙ্গে তার বাবা-মায়েরও কাউন্সেলিং হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ নিয়ে বালুরঘাটে রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্রের কাউন্সিলর কণককুমার দাস বলেন, সকালে একটি নাবালিকা এসে বলে রক্ত বিক্রি করতে এসেছি। যা শুনে কর্মীরা হতবাক হয়ে যান। এর পরে তাকে ঘরের ভেতরে বসিয়ে কথা বলা হয়। সে রক্ত বিক্রির বিভিন্ন কারণ বলতে থাকে। শেষে বোঝা যায়, মোবাইলের টাকা জোগাড় করতেই রক্ত বিক্রি করতে এসেছে মেয়েটি। আমরা চাইল্ডলাইনে খবর দিই। তারা এসে মেয়েটিকে নিয়ে যায়।
চাইল্ডলাইনের দায়িত্ব থাকা রীতা মাহাতো বলেন, ওই নাবালিকাকে কাউন্সেলিং করে জানতে পেরেছি, সে মোবাইল কেনার টাকা জোগাড় করতে রক্ত বিক্রি করতে গিয়েছিল।আমরা মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি।
মেয়ে রক্ত বিক্রি করছে শুনে ছুটে এসেছিলেন বাবা। তার কথায়, একটা ছোট মোবাইল ছিল বাড়িতে। কিন্তু স্মার্টফোনের কথা আমাকে কখনও জানায়নি মেয়ে। ও কেন রক্ত বিক্রি করতে এল তা বুঝতে পারছি না।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :