নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনের আলোয় কেউ চালায় অটোরিকশা আবার কেউ সবজি বিক্রেতা। কিন্তু রাত হলেই ককটেল বিস্ফোরণ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করা ছিল তাদের মূল পেশা। মূলত জেলে গিয়ে তারা নিজেদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতো।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার দুই ডাকাত সর্দারসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এমন সব তথ্য। পরে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে নৈশ প্রহরীদের বেঁধে ময়মনসিংহের নান্দাইল বাজারে মুক্তা জুয়েলার্স ও বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সে ডাকাতি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে চক্রটি। ওই দুই দোকান থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছাড়াও রুপার অলঙ্কার ও নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা লুট করে। ডাকাতি শেষে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার দারুস সালাম থানার দ্বীপনগর থেকে ডাকাত সর্দার হাসমত বেপারী (৪৩) ও জসিম ওরফে মুন্না (৩৯) এবং আদাবর থানার সুনিবিড় আবাসিক এলাকা থেকে স্বর্ণের দোকানদার ইকবাল হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ইকবালের দোকান থেকে লুণ্ঠিত ১১ আনা স্বর্ণালঙ্কার ও ৭০ ভরি রুপার অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
এর আগে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের আরও চার সদস্যকে গ্রেফতার করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় ডিবি পুলিশ। ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :