জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। আবেদনে তিনি নিজ জিম্মায় পাসপোর্টসহ বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছেন।
আদালতের এ আবেদনের ওপর কোনো আদেশ দেননি। তবে আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত সম্রাটের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
এদিন সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা অভিযোগ গঠন শুনানি পোছানো, জামিন স্থায়ীকরণ ও পাসপোর্টে নিজ জিম্মা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। একই সময় তার জামিনও মঞ্জুর করেছেন। তবে পাসপোর্টে নিজ জিম্মা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত।
সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করা যাবে না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন দেওয়ার শর্তে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
গত ২২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ) থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এর বিরোধিতা করেন।
আদালত আসামিপক্ষের আবেদন শেষবারের মতো মঞ্জুর করে ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে জামিন আবেদনও মঞ্জুর করেন আদালত।
রমনা থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। আগের দিন ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকার পৃথক দুটি আদালত তাকে জামিন দেন।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :