সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি। পটুয়াখালীর গলাচিপায় বাড়িতে প্রবেশের পথে পাকা দেওয়াল নির্মাণ করায় অবরুদ্ধ একটি পরিবার। মই বেয়ে বাড়িতে আসা-যাওয়ায় নারী ও শিশু অবরুদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ফিডার রোডস্থ অবসর বোর্ডিংয়ের পিছনে।
অবরুদ্ধ পরিবার হচ্ছেন- মোঃ শাবাবুদ্দিন সরদার এর ছেলে রাজমিস্ত্রী মোঃ রেজাউল সরদার (৩৫)। প্রায় চার বছর আগে নজরুল ইসলাম গংয়ের নিকট থেকে প্রায় দশ লক্ষ টাকায় ৫শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
ঐ জমিতে বালু দিয়ে ভরাট করে আধা পাকা ঘর নির্মান করিয়া বসবাস করে আসছেন রাজমিস্ত্রী রেজাউল সরদার। উক্ত জমি ক্রয় করার সময় বাড়ির আশপাশ খালি ছিল। জমি বিক্রি করার সময় রাস্তা দেখিয়ে জমি বিক্রি করেন নজরুল ইসলাম গং।
এরপর আশপাশের জমিগুলোতে অন্যন্যারা বাড়ি করেন। একই দাগের পাশর্^বর্তী জমির মালিক মফিদুল
ইসলাম তিনিও জমি ক্রয় করার বিষয়ে অবগত আছেন। মফিদুল ইসলামের পরিবার লোকজন যে পাশ দিয়ে বের হন সেই পূর্ব পাশ দিয়ে আমরাও বের হতাম। হঠাৎ কথা ঐ একই দাগের জমি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মফিদুল ইসলাম ঐ জায়গায় রাস্তা বন্ধ করে পাকা দেওয়াল নির্মাণ করে গেট ক্সতরি করে চলার পথ বন্ধ করে দেয়।
অবরুদ্ধ রেজাউল সরদার তার পরিবার বাধ্য হয়ে দেওয়ালের দুই পাশে বাশেঁর মই বানিয়ে চলাচলের পথ ক্সতরি করেন। শিশুরা ঐ বাঁশের মই বেয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার স্বীকার হন। এভাবেই প্রায় এক মাস পর্যন্ত সন্তানদের কথা ভেবে রেজাউল সরদার বাড়ীটি ছেড়ে একই এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় যেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এখনও বাঁশের মই বেয়ে আসা যাওয়া করেন রেজাউল সরদার ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এবিষয়ে রাজমিস্ত্রী রেজাউল সরদার জানান, জমির মালিকের নিকট থেকে আমি ৫শতাংশ জমি ক্রয় করি। যাহার মৌজা-রতনিদ, জেএল নং- ১০৮, খতিয়ান নং- ১২৭, জমির পরিমান- ১৬ শতাংশ আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি ৫ শতাংশ। যা আমার ভোগ দখলে আছে সাড়ে চার শতাংশ বাকি আধ শতাংশ জমি আমি রাস্তা নির্মানের জন্য দিয়েছি।
এবিষয়ে রাজমিস্ত্রী রেজাউল সরদারের স্ত্রী শাহানাজ কান্না কন্ঠে বলেন, আমার দুটি সন্তান নিয়ে মই বেয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া যে কত কষ্টের তা আমরা আপনাকে বোঝাতে পারবোনা।বাচ্চাদের ডিপ টিউবয়েলের পানি আনতে যে কত কষ্টকর তার বলার ভাষা নাই। এ নিয়ে এলাকাবাসীর কাছে
সহযোগিতা চেয়েছেন রেজাউল সরদার।
এবিষয়ে মফিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে শুনেছি দেখবো। গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.