নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী এরফানুল হকসহ (২৫) ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী এবং লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত একটার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন লামা থানায় হয়ে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৪৩, ৩৪১, ১৮৬ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি করেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, এবি ওয়াহিদ (৫০), মিজবাহ উদ্দিন মিন্টু (৪৮), মো. মহিউদ্দিন (৪০), শওকত ওসমান (৪০), খায়ের উদ্দিন মাস্টার (৫০), মুজিবুল হক চৌধুরী (৫০), মিজান, জলিল, আলম মেম্বার ও জহির।
লামা থানা ও পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, রোববার (১৬ নভেম্বর) লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালায় বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন।
এসময় ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। এমনকি কাফনের কাপড় পরে প্রশাসনের গাড়িবহরের সামনে শুয়ে অভিযানের বাধা দেয় শ্রমিকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লামার ফাইতং ইউনিয়নে অনুমোদন ছাড়াই প্রায় ৩১টি ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে ২৫টির বেশি ভাটা কার্যক্রম শুরু করেছে। পাঁচ-ছয়টিতে ইতোমধ্যে চুলায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব ভাটার মালিকরা পাহাড় কেটে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এনসিপি নেতা এরফানুল হকের নেতৃত্বে ইটভাটা মালিকদের লোকজন বিভিন্নভাবে অভিযানে বাধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে অভিযান বন্ধ রেখে ফিরে যেতে বাধ্য হন কর্মকর্তারা। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সরকারি কাজে বাধা প্রদানকারীরা স্থানীয় বাসিন্দা নন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ- মোঃ অনিক। মোবাইলঃ ০১৭১১-৪২৩৫৩২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৮৯-শিকদার ভবন, পোর্ট রোড ভুমি অফিসের বিপরীতে, বরিশাল -৮২০০।
ই-মেইল: barishalcrimetrace@gmail.com
Copyright © 2025 Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস. All rights reserved.