স্বজনদের খোঁজ নেই, বিনা চিকিৎসায় মরতে বসেছেন রিনা


ebdn প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৪, ২০২২, ৪:২৬ অপরাহ্ণ /
স্বজনদের খোঁজ নেই, বিনা চিকিৎসায় মরতে বসেছেন রিনা

কোনো স্বজনকে না পাওয়ায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগ থেকে বাইরে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে রিনা (৩০) নামের এক রোগীকে। হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের গেটের পাশে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছেন তিনি।

 

সরেজমিন দেখা গেছে, ওই নারীর ডান পায়ে পচন ধরেছে। পচন অংশে বাসা বেঁধেছে পোকা। দেহে কোনোরকম এক টুকরা কাপড় জড়ানো। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় তাও মাঝেমধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। তবে তিনি নিজের নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারছেন না। যন্ত্রণায় তিনি কান্নাকাটি করছেন।

jagonews24

 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে পায়ে আঘাতজনিত কারণে কে বা কারা ওই নারীকে হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে যান। পরে নাসির উদ্দিন নামের এক পুলিশ সদস্য হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের অনুরোধ করে তার পায়ে ব্যান্ডেজসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ওষুধপত্র-খাবার কিনে দেন।

 

পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের অবহেলায় রিনার পায়ে পচন ধরে বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগ থেকে তাকে ট্রমা সেন্টারের গেটের সামনে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এখন তার পায়ে ক্ষতস্থানে পচন ধরে পোকা তৈরি হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাহীন জোয়ার্দার বলেন, চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি সঠিক নয়। রোগীটি হাসপাতালে আসার পর থেকেই তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ওষুধপত্র ও খাবারও দেওয়া হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে তার কোনো স্বজন নেই

 

তিনি বলেন, ‘ওই রোগীকে দেখাশোনার জন্য আমরা কাউকে পাচ্ছি না। পা কেটে না হয় দিলাম; তবে তাকে পরবর্তীতে দেখভাল করবে কে? কেউ যদি তার পক্ষে দায়িত্ব নেন, তাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়।

 

jagonews24

 

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. দীপক কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

ফরিদপুরের সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, কিছুদিন আগে বিষয়টি জানতে পেরে আমরা কিছু ওষুধপত্র কিনে দিয়েছি। প্রয়োজন আরও ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু তাকে দেখাশোনার জন্য লোক দেওয়া সম্ভব নয়।