ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : চলমান নবম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বলার মতো তেমন বিদেশি তারকা ক্রিকেটার আসেনি। তবে বিদেশি তারকা ক্রিকেটাররা যে থাকবে না এটা আগেই জানত বিসিবি। বিদেশি ক্রিকেটার না পেলেও বিপিএলে চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর ছিল বিসিবি।
শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, তারকা ক্রিকেটারদের বিপিএলে না থাকা প্রসঙ্গে।
জালাল ইউনুস বলেন, দেখুন বিপিএলের কতগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল। এটি কিন্তু ৬-৭ মাস আগে থেকে বোর্ড থেকে বলা হচ্ছিল— এবার যে সময়ে আমাদের টুর্নামেন্ট হবে সেই সময় কিন্তু আরও টুর্নামেন্ট হচ্ছে বাইরে। বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি হচ্ছে দুবাইতে। এখানে (আইএলটি-২০) দেখেন বেশিরভাগ, ৯০ শতাংশ ক্রিকেটার যারা নাকি আমাদের বিপিএলে খেলত তারা সেখানে খেলছে। তার মানে বড় একটা অংশ সেখানে খেলছে বলে আমরা খুব বেশি বিদেশি পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু এটা আগে থেকেই জানতে পেরেছিলাম এখানে হয়তো ওই ধরনের খেলোয়াড় পাব না। এমনও হতে পারত আমরা বিপিএলটা নাও করতে পারতাম। কিন্তু আমরা এটা চালিয়ে যেতে চাচ্ছি, যেন কোনো গ্যাপ না থাকে। সে জন্য আমরা টুর্নামেন্ট করছি, আমরা জানি এই সময় ক্রিকেটার পাব না, মানে আন্তর্জাতিক মানের। এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল আপনাদের আগেই জানানো হয়েছিল। বাকি যেগুলো সমস্যা ছিল, সেগুলোও কিন্তু এ কারণেই। এগুলো কিন্তু আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম।
বিপিএল নিয়ে সমালোচনা থাকলেও মাঠের ক্রিকেটে বেশি খুশি বিসিবি। জালাল ইউনুস বলেন, তার পরও টুর্নামেন্টটা কিন্তু ভালো হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে— আমরা দেখছি যে, আমাদের স্থানীয় ছেলেরা রান করছে ভালো। আমরা যেটা চাইছিলাম যে আমাদের খেলোয়াড়েরা রান করুক এবং সেটিই হচ্ছে।
তবে মোহাম্মদ রিজওয়ান, ডেভিড মালান, শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ আমিরের মতো ক্রিকেটাররা এসেছেন বিপিএল খেলতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ায় কয়েক দিনের মাঝে বিপিএলে দেখা যেতে পারে হারিস রউফ-নাসিম শাহদের।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :