মুলাদী প্রতিনিধি : বরিশালের মুলাদীতে তালাক দেওয়ার পর স্ত্রীকে এলাকা ছাড়া করতে শ্লীলতাহানি ও অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের প্যাদারহাট বন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
কাজিরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের হোসাইন আহম্মেদের ছেলে মোহাম্মদ আলী ওরফে দিদার পাইক লোকজন নিয়ে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শামছুন্নাহারের ওপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেছেন শামছুন্নাহার। এ ঘটনায় বরিশাল আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শামসুন্নাহার গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার শ্রীরামকান্দি গ্রামের আকরামুজ্জামান শেখের মেয়ে। ২০১৭ সালে তার সঙ্গে মোহাম্মদ আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করত বলে দাবি করেছেন শামছুন্নাহার।
তিনি জানান, স্বামীর বাড়িতে নির্যাতন বেড়ে গেলে প্যাদারহাট বন্দরে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে নিচতলায় ব্যবসা এবং দ্বিতীয় তলায় বসবাস শুরু করেন। দুজনেই আদালতে ও থানায় একাধিক মামলা করেন।
কিছুদিন আগে দিদার পাইক তার স্ত্রীকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পরেও শামছুন্নাহার প্যাদারহাট বন্দরের থাকেন। দিদার পাইক বাড়িতে থাকতেন। দিদার পাইক প্রাক্তন স্ত্রীকে প্যাদারহাট বন্দরের বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু শামছুন্নাহার নিজের টাকায় ভবন নির্মাণ করায় অস্বীকৃতি জানান। এতে দিদার পাইক ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।
শামছুন্নাহার আরও বলেন, রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সবজি কিনতে বাজারে যাচ্ছিলেন। ওই সময় সিঁড়ির মধ্যে দিদার পাইক ৪-৫ জন লোক নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আঁচড়ে তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় জখম করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। তার ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শামছুন্নাহার মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার মণ্ডল বলেন, শামছুন্নাহার থানায় এসে তার প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে কিন্তু তিনি লিখিত না দিয়েই চলে গেছেন।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :