ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : রোববার টুইন-ইঞ্জিনের এটিআর ৭২ উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারার দিকে যাচ্ছিল। বিমানবন্দরে অবতরণের মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটিতে ১৫ বিদেশি নাগরিক এবং চারজন ক্রুসহ মোট ৭২ জন আরোহী ছিলেন।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উদ্ধারকারীরা এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষ থেকে ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। বাকি চারজনের জন্য অনুসন্ধান আবার শুরু হয়েছে। এর আগে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে রোববার রাতে উদ্ধার প্রচেষ্টা স্থগিত করা হয়।
বিধ্বস্তের ‘ফেসবুক লাইভ’ ভাইরাল : ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ফোনে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। তবে ভিডিওটি অস্বস্তিকর।
সোমবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়-অবতরণের আগমুহূর্ত যাত্রীরা উড়োজাহাজের ভেতরে বসে আছেন। উড়োজাহাজের জানালা দিয়ে নিচে শহর দেখা যাচ্ছে। হঠাৎই মোবাইল ফোনের পর্দা কেঁপে ওঠে। ভিডিওর শেষ কয়েক সেকেন্ডে দেখা গেছে-জানালার বাইরে ভয়াবহ আগুন জ্বলছে। আর শোনা যাচ্ছিল যাত্রীদের কান্না-আর্তনাদ।
বিধ্বস্ত বিমানটিতে পাঁচজন ভারতীয় যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই দেশটির উত্তর প্রদেশের ঘাজিপুরের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে সনু জইসওয়াল নামের একজন যাত্রী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। তবে সেটি জইসওয়ালেরই অ্যাকাউন্ট কি-না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় তিনিও নিহত হয়েছেন।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :