আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে শৈত্যপ্রবাহ ও প্রচণ্ড ঠান্ডায় গত সপ্তাহে কমপক্ষে ৭০ জন মারা গেছেন। একই সঙ্গে প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাবে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৭০ হাজার গবাদিপশু। এর মধ্যে গত সপ্তাহে দেশটির ঘোর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ ঠান্ডার কারণে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। এক টুইটে তিনি লেখেন, প্রকৃতির ওপর কারও হাত নেই। তবে ঠান্ডায় এমন প্রাণহানি অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সর্বোচ্চ সাহায্য করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আরও প্রাণহানি রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
জানা যায়, দুই সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের ফলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এমনকি, মধ্যাঞ্চলীয় ঘোর অঞ্চলে গত সপ্তাহের শেষে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা করা হয়েছে মাইনাস ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান মোহাম্মদ নাসিম মুরাদি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এ বছরের শীতকাল সবচেয়ে ঠান্ডা। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহ আরও এক সপ্তাহ কিংবা তার বেশি সময় চলতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, আফগানিস্তানের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি প্রদেশে ভারি তুষারপাত হচ্ছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তাঘাট।
হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালের প্রধান আহমেদ ফারহাদ আফজালি জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩০ থেকে ১৪০ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।
জানা গেছে, ঘর গরম করার জন্য কয়লা ব্যবহার করলে এ ধরনের ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে। শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস গ্রহণের ফলে মানুষ বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। খুব বেশি মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, অ্যারিথমিয়া, খিঁচুনি, বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :