মানবজাতির যাবতীয় পথভ্রষ্টতার মূলে রয়েছে তার মৌলিক আক্বীদা থেকে বিচ্যুত হওয়া-পীর ছারছীনা


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ৭:১১ অপরাহ্ণ /
মানবজাতির যাবতীয় পথভ্রষ্টতার মূলে রয়েছে তার মৌলিক আক্বীদা থেকে বিচ্যুত হওয়া-পীর ছারছীনা

কামারখোলা থেকে মোঃ আবদুর রহমান : আমীরে হিযবুল্লাহ, মুজাদ্দিদে যামান, কুতুবুল আলম ছারছীনা শরীফের পীর ছহেব কেবলা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) বলেছেন- আল্লাহ তা’আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ পেশ করে আক্বীদা বা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই।

ইহা এমন এক ভিত্তি, যাকে অবলম্বন করেই মানুষ তার সার্বিক জীবন পরিচালনার গতিপথ নির্ধারণ করে। আক্বীদা বা বিশ্বাস যার বিশুদ্ধ নয় তার সম্পূর্ণ জীবনটাই বৃথা। কারণ মানব জীবনের মূল চাবিকাঠি হল তার আক্বীদা বা বিশ্বাস ; যার আলোকে মানুষ তার সকল কর্ম সম্পাদন করে থাকে। ইহা এমন এক অতুলনীয় শক্তি, যার উপর ভর করে নিজের জীবনটুকু বিলিয়ে দিতেও সে কুণ্ঠাবোধ করে না।

ভিত্তি স্থাপন ব্যতীত কোন বিল্ডিং বানানো যেমন অসম্ভব ; তেমনি বিশুদ্ধ আক্বীদা ব্যতীত নিজেকে মুসলিম দাবী করাও অসম্ভব। প্রতিটি কথা ও কর্ম যদি বিশুদ্ধ আক্বীদা বা বিশ্বাস থেকে নির্গত না হয় তবে তা মহান আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। মানবজাতির যাবতীয় পথভ্রষ্টতার মূলে রয়েছে তার মৌলিক আক্বীদা থেকে বিচ্যুত হওয়া। তাই সঠিক আক্বীদাই পরকালীন মুক্তির একমাত্র উপায়।

পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেন- আক্বীদাগত কারণে আজ মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত। সঠিক আক্বীদা পোষণ করলে মানুষে মানুষে এত ভেদাভেদ থাকতো না। এজন্য একজন মুসলমানের জন্য আক্বীদা-বিশ্বাসের ব্যাপারে সুস্পষ্ট জ্ঞান রাখা এবং সে বিশ্বাসের যথার্থতা নিশ্চিত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে নিয়ে মিলাদ-ক্বিয়াম, নসীহত ও আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে কুমিল্লা মোস্তফাপুর খানকায়ে ছালেহীয়া কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসার তিনদিনব্যাপী ৮ম বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব মাহফিলের সমাপ্তি করলেন ছারছীনা শরীফের হযরত পীর ছাহেব কেবলা আমীরে হিযবুল্লাহ মুজাদ্দিদে জামান কুত্ববুল আলম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ) ।

গতকাল ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জ জেলাধীন শ্রীনগর উপজেলার কামারখোলা খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ঈছালে ছাওয়াব মাহফিলের আখেরী মুনাজাতের পূর্ব আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন। বাদ জুময়া আখেরী মুনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রাক, অটোরিক্সা রিজার্ভ করে লাখো লাখো মুসুল্লি ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাদদেশে খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সে এসে হাজির হন।

আখেরী মুনাজাতে পীর ছাহেব কেবলা দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত করা হয় এসময় সকলের আমীন আমীন ধ্বনীতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয় এবং গুনাহ মাফের ক্রন্দনের আহাজাড়িতে পরিবেশ ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। মাহফিলের মাঠ প্রাঙ্গণ ছাড়াও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের আশপাশের রাস্তায় দাড়িয়েও বিপুল সংখ্যক মানুষ মুনাজাতে শরিক হন।

তিনদিনব্যাপী মাহফিলে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর উপর আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার ছোট ছাহেবজাদা মুফতী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাফেজ শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, নায়েবে আমীর ও বরিশাল জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মির্জা নূরুর রহমান বেগ, নাজেমে আ’লা ও ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদ্রসার অধ্যক্ষ ড. সাইয়্যেদ মোহাম্মদ শরাফত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার মেঝ জামাতা হাফেজ ড. মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমীন সাহেব, হযরত পীর ছাহেব হুজুর কেবলার সফরসঙ্গী বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামগণ প্রমূখ।