স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী : দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা অ্যাসিডে দগ্ধ হন পটুয়াখালীর সুমাইয়া। তিনি ভারতের ভেলরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অর্থের অভাবে তার বাবা ও মা তাকে সেখানে রেখে দেশে চলে এসেছেন।
এদিকে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারের কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন সুমাইয়া। ভিডিও বার্তায় তার করুণ আকুতি- ‘আপনারা আমার চিকিৎসা খরচ যোগান দিয়ে আমাকে বাঁচান। আমি আর এসিডের পোড়া যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। প্লিজ, আপনারা আমাকে বাঁচান’।
সুমাইয়া পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামের মো. রাজা মিয়া গাজীর মেয়ে। ২০২১ সালে ৩ আগস্ট রাতে দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছিল সুমাইয়া ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী (১২)। এ ঘটনার পর ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট সুমাইয়ার খালা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে সুমাইয়া অর্থের অভাবে ওষুধ কিনে খেতে পারছেন না এবং তার বাবা-মাও দেশে চলে যাওয়ায় সে এখন একা ভেলরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
ফেরদৌসি সুমাইয়া বলেন, তার আপন চাচাতো ভাই আমার গায়ে অ্যাসিড মেরেছে। আমার বাবা ও মা আমাকে নিয়ে ভারতের ভেলরে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় আমার বাবা ও মা আমাকে ফেলে দেশে চলে গিয়েছেন। এখন আমি ভেলরে একা পড়ে আছি। অর্থের অভাবে ওষুধ কিনে খেতে না পারায় আমার মুখ ফুলে উঠেছে এবং প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় বাবা আমার ওপর ক্ষুব্ধ। ভাতিজাকে বাঁচানোর জন্য বাবা আমাকে অসহযোগিতা করছেন এবং ভালোভাবে চিকিৎসাও করাচ্ছেন না।
এ প্রসঙ্গ সুমাইয়ার বাবা রাজা মিয়া গাজী বলেন, ‘আমার মেয়ে সুমাইয়া এখন ভারতের ভেলরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। টাকা জোগাড় করতে আমি আগেই চলে এসেছি। ২-৩ দিন হয় সুমাইয়ার মাও চলে এসেছেন। টাকা জোগাড় হলেই আমরা আবার ভেলর চলে যাব।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে এবং মামলাটি বর্তমান বিচারাধীন রয়েছে। এখন মানবিক দিক থেকে সবার এ মেয়েটির পাশে দাঁড়ানো উচিত। পটুয়াখালীর পুলিশ প্রশাসন থেকে মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হবে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :