নিত্যপণ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার দেওয়ার সুপারিশ


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ২:৫৫ অপরাহ্ণ /
নিত্যপণ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার দেওয়ার সুপারিশ

ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : ডলার সংকটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি অনেক ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে আসন্ন রমজানে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্য আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

গতকাল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ওই চিঠিতে ভোজ্যতেল, ছোলা, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, চিনি এবং খেজুর আমদানির জন্য ডলারের বিশেষ সংস্থান করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তপশিলি ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ডলার সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয়েছিল জানুয়ারি মাস থেকে ডলার সংকট থাকবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। এটি অব্যাহত থাকলে রমজানে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি হতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা জরুরি।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ও ১০ জানুয়ারি পণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের সরবরাহ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। তবে সেখানে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। আগের চিঠিতে বলা হয়, রজমানে নিত্যপণ্যের দাম জনসাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে নিয়মিত এলসি খোলা জরুরি। আমদানি বাবদ ব্যয় পরিশোধে ব্যাংকগুলোতে প্রয়োজনীয় ডলার সবরবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বেসরকারি ব্যাংকগুলো যেন নিয়মিত এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে- সে নির্দেশনা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যেন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় না নামে, সে জন্য চাইলেই ডলার দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শুধু সার, জ্বালানি ও সরকারিভাবে খাদ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি হয়েছে ৮৫৩ কোটি ডলার।

এভাবে ডলার বিক্রির ফলে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। বৃহস্পতিবার নেমেছে ৩২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। গত বছর একই দিন যা ছিল ৪৫ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়নসহ বিভিন্ন তহবিলে জোগান দেওয়া অর্থ বাদ দিলে থাকে ২৪ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব।