দশমিনায় ভেঙে পড়ার ছয় বছর পরেও সংস্কার হয়নি সেতুটি


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ /
দশমিনায় ভেঙে পড়ার ছয় বছর পরেও সংস্কার হয়নি সেতুটি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : ভেঙে পড়ার ছয় বছর পরেও সংস্কার হয়নি সেতুটি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সুতাবাড়িয়া নদীর উপর ছিলো একটি মাত্র সেতু। বালুবোঝাই একটি কার্গোর ধাক্কায় সেতুর মাঝখানের অংশ ভেঙে যায়। ভেঙে পড়ার অর্ধযুগ অর্থাৎ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও নেওয়া হয়নি নতুন সেতু নির্মাণ কিংবা সংস্কারের কোন উদ্যোগ।

এই সেতুর কারণে ১১টির বেশি গ্রামের হাজার হাজার মানুষগুলো দিনের পর দিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ডিঙি নৌকায় চড়ে ঝুঁঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন অসুস্থ রোগী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর গলাচিপা উপজেলা থেকে দশমিনা যাওয়ার পথে একটি বালুবোঝাই কার্গোর ধাক্কায় সেতুর মাঝখানের অংশ ভেঙে গিয়ে চার শিশুসহ পাঁচজন নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে চারজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ওই এলাকার রেফাতুল আলমের মেয়ে নুরসাত জাহান (৫) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়। পাঁচদিন পর তার মরদেহ নদীতে ভেসে ওঠে। ওই সময় বালুবোঝাই কার্গোটিও ঘটনাস্থলে ডুবে যায়।

স্থানীয়রা আরো জানান, প্রায় ৬ বছর হলেও এখনো সেতুটি মেরামত কিংবা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ওই এলাকার ১১টির বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের সহজ যোগাযোগ সংযোগ ছিল জমির মৃধা বাজার এলাকার খারিজা বেতাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতুটি।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। লোহার বিমের ওপর আর, সিসি কংক্রিট ঢালাই প্লেট বসানো ১৫০ ফুট লম্বার এই সেতুর মাঝখানে প্রায় ২৫ ফুট অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে।

সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে গেছে। এখন শিক্ষার্থীরা ছোট খেয়া নৌকায় পারাপার হচ্ছে। এতে সব সময় আতঙ্কের বিরাজ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। এছাড়াও ওই এলাকায় খারিজা বেতাগী নামে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। সেতুটি ভেঙে পড়ায় সেবা নিতে আসা নারী-শিশু রোগীর সংখ্যা কমে গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু জানান, বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের ব্রিজটি না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। গার্ডার ব্রিজ না হলেও তিনি চলাচলের জন্য একটি মজবুত আয়রন ব্রিজের দাবি জানান।

দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। তবে, দুই পারের মাটি সমস্যার কারণে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করা যাচ্ছে না।