চরফ্যাশন প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাসনে শশীভূষণ বাজার ব্রিজ সংলগ্ন চরফ্যাসন -দক্ষিন আইচা মহাসড়কের ব্রিজের ঢাল অবৈধ দখল করে পাকা ঘর নির্মানের হিড়িক পড়েছে। অভিযোগ উঠে স্থানীয় প্রভাবাশালী চক্রের বিরুদ্ধে। সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ না হতেই ওই চক্র বাজারের দোকান ঘর নির্মানের জন্য সড়কের ঢাল দখলে মরিয়া হয়ে উঠেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা নব নির্মিত মহাসড়ক। বিনষ্ট হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শশীভূষণ বাজারের পরিবেশ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই জবর দখলের কর্মজজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায, ২০২২ সনে ভোলা- দক্ষিণ আইচা সড়ক প্রসস্তকরনের কাজ শুরু হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলো ইতিমধ্যেই সড়কের মধ্যে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করেছেন। শশীভূষণ বাজারের পুরাতন বেইলি ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মান কাজ শেষ হতেই জবর দখল শুরু হয়েছে ব্রিজের ঢালসহ মহাসড়কের স্লোপিং ঢাল। নির্মান করা হচ্ছে পাকা ইমারত। সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাবশালী মোহাম্মদ আলী, মাজেদ সিকদার, প্রভাষক শাহাবুদ্দিন, মিলন শীল ,মতিন মিয়া, লিয়াকত আলী, মুরাদ হোসেনসহ একটি প্রভাবশালী চক্র সড়কের ঢাল দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা আবদুল মজিদ জানান, বাজারের ব্রিজ সংলগ্ন প্রবেশ পথের সড়কের ঢাল দখল করে পাকা ঘর নির্মান করা হলে বিনষ্ট হবে বাজারের পরিবেশ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাজারের অপর ব্যবসায়ীরা। সড়ক জনপদ ও প্রসাশনের কর্তা ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে করছেন নির্মান কাজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির এক নেতা জানান, বাজারের প্রবেশ পথের ব্রিজের ঢাল ও সড়কের স্লোপিং জবর দখলের করনে বাজারের পরিবাশে বিনষ্ট হচ্ছে। দখলকারী চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় কোন বাধাই মানছেনা তারা।
জবর দখলকারী মিলন শীল জানান, পুর্ব থেকেই এসব স্থানে তাদের দোকান ঘর ছিলো। সড়ক প্রসস্তকরনের কারনে ঘর গুলো ভেঙে ফেলা হয়েছিলো । সেসব জায়গাতেই তার পাকা ঘর নির্মান করছে। এসব অবৈধ দখল দেখার যেন কেউ নেই। ভোলা সড়ক ও জনপদের প্রকৌশলী নজমুল হাসান জানান, খতিয়ে দেখে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :