নাজিরপুরে ‘মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে বাবলা, চলিশা ও জীবগ্রাম’


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ৩:২১ অপরাহ্ণ /
নাজিরপুরে ‘মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে বাবলা, চলিশা ও জীবগ্রাম’

নাজিরপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুরে শীতে পানি কমতে থাকায় কালিগঙ্গা নদী ভাঙনের ভয়াবহতা তীব্র আকার ধারণ করে। এতে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের জীবগ্রাম, বাবলা, চলিশা এই তিন গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সড়কটিও নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার পথে।

৮ নম্বর শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বেপারী জানান, ইতোমধ্যে ভাঙনে বহু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। গত এক মাস ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুন। দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না করলে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের এ তিন গ্রামের অস্থিত্ব। আমার পরিষদের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধকল্পে যতটুকু সম্ভব অতি দ্রুত কার্যকারী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর এ ইউনিয়নের নদী ভাঙন বেড়েই চলছে। তবে গত দুবছরের তুলনায় এ বছর ভাঙণের আকার তীব্রতা ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের তিন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে ৮৭নং চলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরাকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মসজিদ ও মন্দির।

চলিশা গ্রামের ইয়াকুব আলী ফকির ও শিক্ষার্থী জায়েদা জানান, গত বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এ এলাকার নদী ভাঙন শুরু হয়, গত দুই মাসে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে আবাদী জমি, গাছ-পালা ও বাশঁঝাড়, নদীগর্ভে চলে গেছে। গত সপ্তাহ থেকে আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ও বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের বসতভিটা ও নদীতে বিলিন হয়ে যাবে।

পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মাওলা মোহম্মদ মেহেদী হাসান জানান, শ্রীরামকাঠী কালিগঙ্গা নদী ভাঙন রোধসহ জেলার আরও চারটি নদীর ভাঙন রোধে ৬৫৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।