পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও বৃত্তি পেলো পটুয়াখালীর দুই শিক্ষার্থী


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : মার্চ ১, ২০২৩, ১:৫১ পূর্বাহ্ণ /
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও বৃত্তি পেলো পটুয়াখালীর দুই শিক্ষার্থী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : বাউফলে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ এ অংশগ্রহণ না করেও বৃত্তির ফলাফলে নাম এসেছে এক শিক্ষার্থীর। উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের ৪১নং উত্তর পশ্চিম রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর নাম সাজিয়া রহমান।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সারাদেশের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করে। এ বছর বাউফল উপজেলা থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্ডেন থেকে ২৫৫ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন।

এর মধ্যে ৭৫ জন ট্যালেন্টপুলে ও ১৪৫জন শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পায়। কিন্তু উপজেলার ৪১নং পশ্চিম রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৭জন অংশ গ্রহন করলেও ওই শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেনি। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত সাধারণ বৃত্তির ফলাফলে ওই শিক্ষার্থীর রোল ম-৩৩৪ দেখানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বশার জানান, খলিলুর রহমানের কন্যা সাজিয়া রহমান বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেনি। কি ভাবে বৃত্তি পরীক্ষা ফলাফলের তালিকায় ওই শিক্ষার্থীর নাম এসেছে বুঝতে পারছিনা।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুল ইসলাম জানান, অংশ গ্রহন না করে কিভাবে বৃত্তি পেলো সে বিষয়টি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করেছি।

একদিকে অংশগ্রহন না করে বৃত্তি পাওয়া ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আশানুরুপ ফলাফল না আসায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার এক শিক্ষার্থী ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ না নিলেও তার রোল এসেছে ট্যালেন্টপুলের তালিকায়। এমন ঘটনা কেন ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।

জানা গেছে, ৫২১ নম্বর রোলধারী যে শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুল বৃত্তির তালিকায় এসেছে সে সুতাবাড়িয়া সারকেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। শরীরে গুটি বসন্ত ওঠায় সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। বিষয়টি যে নিজেও নিশ্চিত করেছে।

এ ছাড়া তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব মল্লিক জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে তিনজন বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা দেয় দুজন। ৫২১ রোলধারী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তারপরও মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঘোষিত বৃত্তির ফলাফলে সে ট্যালেন্টপুল তালিকায় এসেছে।

গলাচিপা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মীর রেজাউল ইসলাম জানা, বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

গলাচিপা ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেছেন, যে ফল এসেছে সেটি অপ্রত্যাশিত। শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ না নিলেও কীভাবে সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেল, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

গলাচিপায় উপজেলায় ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে ৬০ জন; সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ১২৭ শিক্ষার্থী।