বিএনপির অভিযোগে ভেংচি কাটে হনুমান: তথ্যমন্ত্রী


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : মার্চ ১, ২০২৩, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ /
বিএনপির অভিযোগে ভেংচি কাটে হনুমান: তথ্যমন্ত্রী

ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যারা নিজেদের দুর্নীতির কারণে পর পর বাংলাদেশকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছিল তারা কারা, তারা হচ্ছে বিএনপি।’

দুর্নীতি ও টাকা পাচারের কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের শাস্তি হয়েছে। লুটের টাকা বিদেশে পাচার করার কারণে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আমেরিকার এফবিআই বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। সেই বিএনপি যখন দুর্নীতির অভিযোগ করে তখন শুধু মানুষ নয়, গাধাও হাসে হনুমানও ভেংচি কাটে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত ২১ দিনব্যাপী অমর একুশে বই মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যারা নিজেদের দুর্নীতির কারণে পর পর বাংলাদেশকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছিল তারা কারা, তারা হচ্ছে বিএনপি।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি। বক্তব্য দেন অমর একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বই পোড়ানো যেমন অপরাধ, বই না পড়াও অপরাধ। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বই বিতরণ প্রথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চালু করেছেন। এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রতিবছর ৩৫ কোটির বেশি বই বিনা মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল আর কোনো দেশে এমন ব্যবস্থা চালু নেই। যেটি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সরকার চালু করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে সেই নতুন বই সংরক্ষিত ছিল স্কুলঘরে। সেই বইয়ের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ৫০০ স্কুলঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। নির্বাচন প্রতিহতের নামে এই কাজটি করেছে বিএনপি ও তাদের জোট। শিক্ষার্থীদের শুধু বই নয়, তাদের ভবিষ্যৎ পুড়িয়ে দিয়েছে। সেই পোড়া বই বুকে জড়িয়ে ধরে শিক্ষার্থীরা আহাজারি করেছে। রাজনীতির নামে বই পোড়ানো এমন ঘটনা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে ঘটেছে কি না সন্দেহ।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এমন সময় ছিল প্রতিবছর শিক্ষাবর্ষ যখন শুরু হতো, তখন দরিদ্র ঘরের অভিভাবকেরা অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের কাছে ধরনা দিত তার ছেলের পুরোনো বইগুলো সংগ্রহ করার জন্য, এটিই ছিল নিয়মিত ঘটনা। সেই ঘটনা এখনও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আছে। কিন্তু আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন বই বিতরণ প্রথা চালু করেছেন। বাংলাদেশের মতো জনবহুল আর কোনো দেশে এমন ব্যবস্থা চালু নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বই মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বই পড়া ছাড়া মানুষের জীবন কখনো সমৃদ্ধ হয় না। যারা পৃথিবী বদলে দিয়েছেন, মানুষের জীবন বদলে দিয়েছেন, সাহিত্য বদলে দিয়েছেন, পৃথিবীর মানচিত্র বদলে দিয়েছেন, তারা সবাই বই পড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আগে পাড়ায় পাড়ায় লাইব্রেরি ছিল, মানুষ গোগ্রাসে বই পড়ত। এখন তরুণ ও কিশোরদের মধ্যে সেই অভ্যাস নাই।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাসটা কেড়ে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মোবাইল ফোনের আসক্তি। এটা বড় যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যায় ছাত্রছাত্রীরা বই পড়ার চেয়েও মোবাইল ফোনের আসক্তিতেই মগ্ন। এখান থেকে আমাদের কিশোর-তরুণদের রক্ষা করতে হবে। বই পড়ার ওপর জোর দিতে হবে। না হয় আমরা ভবিষ্যতে এমন একটি প্রজন্ম পাব, যেই প্রজন্ম হয়তো প্রযুক্তিতে অনেক সমৃদ্ধ হবে, জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবে না। প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হওয়া আর জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার মাঝে পার্থক্য আছে। সেজন্য বইমেলার আয়োজন এবং মানুষের পাঠাভ্যাস পুনরুদ্ধার করা অত্যন্ত প্রয়োজন।’