স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল : মামলা দায়েরের ১১ বছর পর বরিশালে স্কুল ছাত্রী ধর্ষন মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আসামীর অনুপস্থিতিতে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষনা করেন।
ধর্ষনের সহায়তার অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেয়া হয়। দণ্ডিত জসিম হাওলাদার বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠি গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, বাদীর স্কুল পড়ুয়া ষোড়শী কন্যাকে প্রায় সময় উত্যক্ত করতো জসিম । সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর কিশোরীর বাবা রিক্সা চালাতে বের হয়। মা প্রতিবেশির বাড়ীতে যায়।
ছোট বোন স্কুলে যাওয়ায় ধর্ষিতা ঘরে একা ছিলো। এ সুযোগে ধর্ষক জসিম ঘরে প্রবেশ করে কিশোরীর গলা চেপে ধরে ধর্ষন করে। ধর্ষণ শেষে বাশের কঞ্চি দিয়ে কুপিয়ে ধর্ষিতার গোপনাঙ্গ ক্ষত বিক্ষত করে। এ সময় দরজায় পাহাড়ায় ছিলো কুদ্দুস।
এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর মহানগর পুলিশের বন্দর থানায় নামধারী দুই জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই জনকে আসামী করে মামলা করেন ধর্ষিতার মা পারুল বেগম। বন্দর থানার এসআই আলমগীর হোসেনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওই দু্ইজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীীট দেয়া হয়। ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিচারক জসিমকে সাজা এবং অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় কুদ্দুসকে বেকসুর খালাস দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি জসিম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :