বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে সোহাগ নামে একজনকে শনিবার (১১ মার্চ) রাতে শহরের টাউনহল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের সোনালিপাড়া এলাকার মো. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করে। গ্রেফতার হওয়া সোহাগ মামলার ১নং আসামি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বরগুনার খাজুরতলা গ্রামে ক্রয়কৃত জমির উপর শতাধিক ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছিলো প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার। কিন্তু আবু জাফর গং কতৃক করা একটি দেওয়ানী মামলায় রহিমা বেগম গং-দের বিরুদ্ধে একতরফা রায় হয়। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে দখল বুঝিয়ে দিতে উচ্ছেদ অভিযানের নির্দেশ দেয় বরগুনার সহকারি জজ আদালত।
আদালতের নির্দেশে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির ফারুক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ও মামলার বাদী পক্ষের শতাধিক উচ্ছেদকর্মী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। তবে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালেই ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত বেলা ২ টায় উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করার আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে নাজির ফারুক আহম্মেদ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে চলে এলেও বাদী পক্ষ দুর্বৃত্তদের সহযোগিতায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর করার পাশাপাশি স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়।
এ প্রসঙ্গে বিবাদী রহিমা বেগম বলেন, আদালতের রায় পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, সেখানে ৬টি ঘর উচ্ছেদের নির্দেশ ছিল কিন্তু দুর্বৃত্তদের সহযোগিতায় বাদী পক্ষ এ সময় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বহুতল বিশিষ্ট একাধিক ভবনও।
এ প্রসঙ্গে নাজির ফারুক আহম্মেদ বলেন, সহকারি জজ মহোদয় আমাকে ফোনে জানান যে, স্টে হয়েছে, আপনারা কার্যক্রম বন্ধ করে চলে আসুন। তারপর আমরা তিনটার দিকে চলে আসি এবং বাদী পক্ষকে বলে আসি, আপনারা আর ভাঙচুর করবেন না। ওদের শতাধিক কর্মী ছিলো।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :