ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : ধর্ম পরিচয় নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় গত ৪৫ দিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে আছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রতন দাশ প্রকাশ আহমদের (২৯) লাশ। ধর্ম পরিচয় নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দিতে হাইওয়ে পুলিশকে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া সময় গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দিয়ে উল্টো সময়ের আবেদন করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার আদালতে তাদের আবেদনের শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। ফলে নিহত যুবকের লাশ ইসলামী রীতি অনুযায়ী দাফন করা হবে নাকি হিন্দু ধর্মমতে চিতায় পোড়ানো হবে সে ব্যাপারে দেড় মাসের অচলাবস্থা কাটেনি।
জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে পটিয়া উপজেলার মনসা বাদামতল এলাকায় তেলবাহী লরির চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত যুবকের মা সন্ধ্যারানী দাশ শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন রতন দাশ হিন্দু ছিলেন। তাই হিন্দু ধর্মের নিয়ম মেনে শেষকৃত্য চিতায় সম্পন্ন করতে চান।
কিন্তু তার সহপাঠীদের দাবি, তিনি ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার একটি মাদ্রাসায় মাওলানা হারুন এজাহারের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাদের দাবি, এরপর থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ও ইসলাম ধর্মের সব নিয়মকানুন মেনে চলতেন। তাই তারা মুসলিম হিসেবে তার লাশ দাফন করতে আগ্রহী।
যুবকের মরদেহ নিয়ে উভয় পক্ষের দাবি আমলে নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহ যতদিন পর্যন্ত সে মুসলমান নাকি হিন্দু পরিচয় শনাক্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত মরদেহটি চমেক হাসপাতালের হিমঘরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশকে ১৩ মার্চের মধ্যে পরিচয় নিশ্চিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।
হাইওয়ে থানার ওসি স্নেহাংশু বিকাশ সরকার বলেন, ‘আমরা আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেছি। দুইজন তদন্ত কর্মকর্তা বদলি হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা তদন্ত কাজ প্রায় শেষ করেছি।’
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :