বরগুনায় তরমুজ ক্ষেতে ভুল কীটনাশক দিয়ে চাষির মাথায় হাত


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : মার্চ ১৬, ২০২৩, ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ /
বরগুনায় তরমুজ ক্ষেতে ভুল কীটনাশক দিয়ে চাষির মাথায় হাত

বরগুনা প্রতিনিধি: ভুল কীটনাশক ব্যবহার করে সর্বস্বান্ত হওয়ার শঙ্কায় বরগুনার তরমুজচাষি জহিরুল মাতুব্বর। শুকিয়ে যাচ্ছে তার ৬০ শতক জমির তরমুজ গাছ। এতে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হবে বলে জানান জহির।

জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট তালতলী এলাকায় ৬০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেন জহিরুল মাতুব্বর। প্রতিটি গাছে ফুল থেকে ফল আসা শুরু হয়েছে। তবে গাছের পোকা দূর করে ভালো ফলন পেতে এবং ক্ষেতের আগাছা নির্মূলের জন্য স্থানীয় দোকান থেকে কীটনাশক কিনে আনেন তিনি। পরে ভুলে ওই কীটনাশক ব্যবহার না করে ঘরে থাকা ধানচাষের কীটনাশক প্রয়োগ করেন। এর পরপরই জমির সব তরমুজ গাছ নুয়ে পড়ে শুকিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে তরমুজচাষি জহিরুল মাতুব্বর বলেন, আমার ভুলের কারণে এমন হয়েছে। না জেনেই ভুল কীটনাশক ক্ষেতে প্রয়োগ করেছি। এখন পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফুল থেকে ফল আসা শুরু হয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে দুই লাখ টাকার বেশি আয় হতো। এখন গাছে পানি দিচ্ছি, গাছগুলো বাঁচলেও ভালো ফলন নিয়ে সন্দেহ আছে।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, অনেক সময় কীটনাশক প্রয়োগের মাত্রা সঠিকভাবে না জেনে অতি মাত্রায় প্রয়োগ করলে গাছ শুকিয়ে যেতে পারে।

তাছাড়া এক ফসলের কীটনাশক অন্য ফসলে প্রয়োগ করলেও ফসলের ক্ষতি হতে পারে। অনেক চাষি কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ না করে বাজার থেকে কীটনাশক সংগ্রহ করেন। চাষিদের আরও সচেতন হতে হবে। যেকোনো পরামর্শ পেতে কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এমন সমস্যায় আর পড়বেন না চাষিরা।