ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : মহাসড়কে কৃত্রিমভাবে যানজট সৃষ্টি করতে তারা সিদ্ধহস্ত। বিশেষ করে রাতের বেলায় কোনো অটো রিকশা বা পিকআপ ভ্যানের চাকা ফুটো করে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি করা তাদের কাছে মামুলি বিষয়। কারণ মহাসড়কের যানজটই ছিল তাদের ডাকাতির প্রধান টার্গেট। যানজটে আটকে থাকা যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকারে ডাকাতি করাই তাদের মূল পেশা। এভাবে দুই বছরে ৫০টি ডাকাতি করেন তারা।
কিন্তু এবার বিপত্তি ঘটলো, যেন ‘পরবি তো পর মালির ঘাড়ে’ অবস্থা। খোদ র্যাব-১১ এর সাদা পোশাকে থাকা একটি টিমের গাড়িতেই ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ল এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৮ সদস্য। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাউসিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি চাইনিজ কুড়াল, একটি স্টিলের তৈরি চাপাতি, একটি বড় ছোরা, একটি হাতুড়ি এবং একটি শাবল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন ভবের চর এলাকার ডাকাত সর্দার সুজন (২০), মো. রাসেল (২৭), সিয়াম (১৯), চাঁদপুরের আলাউদ্দিন (১৯), পাবনার মো. বাদশা হোসেন দিপু (২০), সাব্বির (১৮), সোনারগাঁয়ের হাবিবুর রহমান (১৯) কুমিল্লার মিন্টু (২৩)।
নারায়ণগঞ্জের কালীবাজার এলাকায় অবস্থিত র্যাব-১১ এর সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল আলম জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেশ কিছুদিন ধরেই এই ডাকাত চক্রটি ধরতে ওত পেতে ছিলাম। বৃহস্পতিবার রাতে সাদা পোশাকে র্যাবের টিম এমনভাবে ফাঁদ পাতে যে ডাকাতদল আমাদের গাড়িতেই হানা দেয়। তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ১২-১৫ জন।
তিনি জানান, এই ডাকাত দলের সর্দার মো. সুজন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিলেন। গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়ক থেকে প্রায় ৫০টিরও অধিক ডাকাতি করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :