ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রীর বাবার করা মামলায় ওই প্রধান শিক্ষককে জেলে পাঠানো হয়। অপরদিকে পুলিশের করা মামলায় আটক ১৬ আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশের অব্যাহত অভিযানে এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বিদ্যালয়ের আশপাশের কয়েকটি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি কম ছিল।
জানা গেছে, ওই ঘটনায় বুধবার রাতেই আটক উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনকে একমাত্র আসামি করে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ছাত্রীর বাবা।
মামলায় বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনকে জেলহাজতে পাঠান আদালত। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যে বাধা দানের ঘটনায় দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক মুক্তার আহমেদ মলি বাদী হয়ে করা মামলায় আটক এজহারভুক্ত ১০ জন আসামিকে একই দিন জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলো- উপজেলার শাকতলা গ্রামের ডা. বশির আহাম্মেদ ভূইয়ার ছেলে লুৎফুর কবির ভূইয়া সোহাগ (৩১), আবুল কালাম আজাদ ভূইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূইয়া প্রকাশ জামান ডাক্তার (৪৮), মোখলেছুর রহমানের ছেলে আলী আশ্রাফ (৪৭), মৃত শরবত আলীর ছেলে ছবুর (১৯), মাশিকাড়া গ্রামের সেলিমের ছেলে শাহ পরান (৩০), মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে ওয়াজকুরুনী (৩৫), হামলা বাড়ির মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫০), পদ্মকোট গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে ইউনুছ (৩৬), আবুল কাশেম এর ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), হোসেনপুর গ্রামের মৃত আকরম আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৫৫)।
আটককৃতরা হলো- স্থানীয় ইউপি মেম্বার মমিনুল হক মুন্না (৪২), আওয়ামী লীগ নেতা আশেক এলাহী (২৭), এরশাদ চৌকিদারের মেয়ের জামাই আবুল হাসেম (৩২), ফয়সাল (২২), মামুন (৪২) ও সোলেমান (২৪)। আটককৃতদের শুক্রবার বিকালে কোর্টে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :