অবশেষে প্রতারণার দায়ে ওমরাহ হজ ট্রাভেল এজেন্সির মালিক আটক


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : মার্চ ১৮, ২০২৩, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ /
অবশেষে প্রতারণার দায়ে ওমরাহ হজ ট্রাভেল এজেন্সির মালিক আটক

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল : সম্প্রতি পত্রিকায় ‘বরিশালে ওমরাহ হজ নিয়ে ট্রাভেল এজেন্সির প্রতারণা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বরিশালে দি ইসলামিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের মালিক শাহাদাৎ হোসেনকে আটক করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।

জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারী ৩ লাখ ২০ হাজার টাকায় দি ইসলামিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস থেকে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক মো: শাহরিয়ার হক ও তারা মা শাহানারা আক্তারা ওমরাহ পালন করতে মক্কা য়ায়। কিন্তু দি ইসলামিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস কোম্পনী থেকে হজ্ব পালনের প্রক্রিয়া সারা হলেও তাদের মক্কায় পাঠানো হয় জীবন ট্রাভেলস্ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে।

মক্কাতে তাদের জন্য যে হোটেল রুম দেয়া হয়, সেই রুমে আরো দুই জন পুরুষকে দেয়া হয়। যার কারণে তারা আপত্তি করেন। পরে অন্য রুমে তাদের সিফট করা হয়। একই ভাবে মদিনায় গিয়েও অন্য রুম নিলেও তার টাকা দেয়নি ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস কোম্পানী। এ ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের আটকে দেয়, এবং বাংলাদেশ থেকে ৩২ হাজার ৬শ টাকা পাঠিয়ে হোটেল ছাড়তে হয় তাদের। আর হোটেলে থাকার সময়ে খাবার দেয়া হয়নি ৪ দিন।

পরে বাধ্য হয়ে বাহির থেকে খাবার কিনে খেতে হয়েছে তাদের। এমনি মক্কা মদিনায় থাকাকালিন অবস্থায় দর্শনিয় স্থানগুলো পরির্দশন করননি ট্রাভেল কোম্পানী। ডা. মো: শাহরিয়ার হক অভিযোগ করে বলেন, ওমরা করতে যাওয়ার আগে রিয়াল করে দেয়ার কথা বলে ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকার বিনিময় আমাদের ১৮ হাজার ৫শ রিয়াল প্রদান করা হয়েছে।

২৮ টাকা দরে রিয়াল হলে আমাদের পাওয়ার কথা ছিল ১৯ হাজার ৬০৭। কিন্তু ১৩শ ১ রিয়াল কম দিয়েছে। যার বাংলাদেশি মূল্য ৩৬ হাজার ৪শ টাকা। এসব অভিযোগ ও অতিরিক্ত ব্যায়ের টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টে দেখে নেয়া ও খারাপ আচরণ করে দি ইসলামিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস। এ বিষয়ে আমার মা বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় শাহাদাৎ হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মামুন বলেন, দি ইসলামিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস মালিক শাহাদাৎ হোসেনকে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় নগরীর গীজা মহল্লা থেকে আটক করা হয়। এক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসককের মায়ের দায়ের করা মামলা তাকে আটক করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।