নাজিরপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুরের চৌকিদার ও মেম্বারের মধ্যস্থতায় ধর্ষণের ঘটনা মিটমাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের ভীমকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৭ মার্চ দুপুরে ওই গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে নিজ বাড়িতে স্থানীয় ১০-১২ তরুণ তাকে মুখে রং দেয়। এ সময় কেউ তাকে ধর্ষণ ও অন্যরা ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে তারা তাকে মারধর করে বলে চিকিৎসককে জানায় মেয়েটি। এমন বক্তব্য দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয় সে। পরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি সদর উপজেলা সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ অপু এবং শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের মেম্বার আকবর মোল্লা এবং মনোজ কান্তির মধ্যস্থতায় ৫ লাখ টাকায় মিটমাট করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে ইউপি সদস্য আকবরের কাছে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে ইউপি সদস্য মনোজ কান্তি দাবি করেন, বিষয়টি মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে। তবে এ জন্য টাকা লেনদেনের তথ্য জানেন না তিনি। গ্রামপুলিশ অপুর ফোনে কল দেওয়া হলে বিষয়টি মিটমাটের খবর পরে জানাব বলে সংযোগ কেটে দেন তিনি।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, মেয়েটির পক্ষ থেকে ঘটনার পর ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তাকে মামলা দিতে বলা হলেও রহস্যজনক কারণে মামলা দেয়নি সে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁরাও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :