বেতাগী প্রতিনিধি : বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) ও জেলেদের মধ্যে বিতরণের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও ২৫-২৭ কেজি করে চাল পাওয়া গেছে। আজ শনিবার উপজেলার খাদ্যগুদাম থেকে এসব চাল বিতরণের সময় এ ঘটনা ধরা পড়ে। একজন জনপ্রতিনিধি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, শনিবার সকালে উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নে ৭২ টন চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় ৩০ কেজির পরিবর্তে কোনো বস্তায় ২৫, আবার কোনো বস্তায় ২৭ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। মাপে কম দেওয়ার কারণে ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্যের সঙ্গে খাদ্যগুদামের কর্মকর্তার বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সরিষামুড়ি ইউপি সচিব ভবরঞ্জন হাওলাদার অভিযোগ করেন, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া ৭২ টন (২ হাজার ৪০০ বস্তা) চাল নেওয়ার জন্য ইউপি সদস্যদের নিয়ে তিনি বেতাগী খাদ্যগুদামে আসেন। ট্রলারে চাল ভর্তি করা শুরু হলে বস্তার সেলাই দেখে সন্দেহ হয়। তখন তাঁরা সাংবাদিকদের খবর দেন। পরে সাংবাদিকদের সামনে ট্রলারের ভেতরে রাখা বস্তাগুলো পরিমাপ করার সময় ২৫-২৭ কেজি চাল পাওয়া যায়, অথচ থাকার কথা প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি। খাদ্যগুদামের ভেতরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সেখানেও পরিমাপে হেরফের হয়।
সরিষামুড়ি ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা চালের অধিকাংশ বস্তার মুখ স্থানীয়ভাবে পুনঃসেলাই করা। এসব বস্তার চাল সরানোর পর আবার সেলাই করে তা সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে পরিমাপে কম পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইলে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বেতাগী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিগ্যান দেবনাথ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। চাল পরিমাপে কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :