ক্রাইম ট্রেস ডেস্ক : কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় প্রায় দুই লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশী কর্মী যাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে পাঁচ লাখ বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান হবে। শনিবার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্ত লেবার ডিপার্টমেন্ট আট হাজার ৭২৭টি নিয়োগের ডিমান্ডের বিপরীতে তিন লাখ ৫৮ হাজার ৮৯২ জন বাংলাদেশী নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করেছে এবং ইতোমধ্যে এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৯৫ নতুন কর্মী মালয়েশিয়ায় এসে পৌঁছেছে। বাকি প্রায় দুই লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশী কর্মীর আগমন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে মালয়েশিয়ায় আনুমানিক পাঁচ লক্ষ নতুন বাংলাদেশী কর্মীর কর্মসংস্থান হবে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী যাওয়ার পর কাজ না পাওয়া প্রসঙ্গে হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ না পাওয়া কর্মীর সংখ্যা মোট আগত কর্মীর তুলনায় অল্প এবং এটি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশী কর্মীদের নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে নিয়োগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ পরিস্থিতির অবনতি না হয়, সে বিষয়ে মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বৈধভাবে আগত একজন বাংলাদেশী কর্মীও মালয়েশিয়াতে যেন বিড়ম্বনার শিকার না হতে হয় তার জন্য কাজ করছে হাইকমিশন। এ বিষয়ে, হাইকমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশন আনুমানিক ৯৫ ভাগ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সঠিক আছে কি না তা যাচাই বাছাই করে ডিমান্ড সত্যায়ন করে থাকে। বাকি পাঁচ ভাগ ডিমান্ডের বিপরীতে নিয়োগকর্তার অফিস বা প্রজেক্ট সাইট পরিদর্শন করে সত্যায়ন করে থাকে। কর্মী নিয়োগের ডিমান্ড শতভাগ যাচাই-বাছাই করে সত্যায়ন করা সম্ভব নয়। এটা মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের পক্ষেই একমাত্র সম্ভব।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :