ইন্দুরকানীতে রুমার দুটি পায়েই পচন, প্রয়োজন আর্থিক সহায়তা


Barisal Crime Trace -FF প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ৩:২৯ অপরাহ্ণ /
ইন্দুরকানীতে রুমার দুটি পায়েই পচন, প্রয়োজন আর্থিক সহায়তা

ইন্দুরকানী প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার মধ্য চর বলেশ্বর গ্রামের সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে রুমা আক্তার। তার দুপায়েই গ্যাংগিন রোগে পচন ধরেছে। গত তিন বছর যাবত অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছেন রুমা। মাঝে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ সাত মাস ছিলেন খুলনা মেডিক্যালে। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার ফলে প্রায় ৯০ ভাগ সুস্থ হয়েছিল তিনি। পরে সেখান থেকে বাড়িতে আসার পর চিকিৎসা না হওয়ায় দিন দিন তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।

ঘরের মেঝেতে ২৪ ঘন্টা শুয়ে বসেই এখন দিন কাটছে তার। দু’পায়ে পচন ধরায় উঠে হাঁটতে পারছে সে। এর আগে এইচএসসিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় ২০০৯ সালে হঠাৎ ব্রেইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল সে।

পরিবারে তার একমাত্র বৃদ্ধা মা আমিরুন্নেসা ভিক্ষা করে সংসার চালান। মেয়েকে একা ঘরে তালাবদ্ধ রেখে সকালে মা আমিরুন্নেছাকে নামতে হয় গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে। বাবা মারা গেছেন সেই প্রায় দুই যুগ আগে। বর্তমানে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে থাকার জন্য আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের একটি খালি বাড়িতে। তার পক্ষে মেয়ের চিকিৎসা করানোর জন্য আর্থিক তেমন কোন সামর্থ্য নেই। অতি দ্রুত ভাল চিকিৎসা না করাতে পারলে রুমার দুটি পা কেটে ফেলা হতে পারে। তাই সমাজের বিত্তবানদের প্রতি তার মায়ের আহ্বান অসহায় রুমার চিকিৎসার জন্য যেন একটু সহযোগীতার হাত বাড়ান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম জানান, রুমা মেয়েটি অনেকদিন ধরেই অসুস্থ। অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারছে না ওর মা।

রুমার মা বৃদ্ধা আমিরুন্নেছা সাংবাদিকদের জানান, ‘মাইয়াডা অনেকদিন ধইররা অসুস্থ। ঘরে পইররা রইছে। গরিব মানুষ ভিক্ষে করে মা মাইয়ার পেট চালাই। এর মধ্যে কেমনে মাইয়াডার চিকিৎসা করামু। সবাই টাহা পয়সা দিয়া একটু সহযোগিতা করলে আমার মাইয়ার পাও দুইটা ভালো অইতে পারে।’