ফাহিম ফিরোজ, বরিশাল : পবিত্র ঈদ উল ফিতরের বাকী আর মাত্র তিন দিন। বরিশালে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মার্কেট, সপিংমল ও বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। নগরীর চকবাজার, হাজী মোহাম্মাদ মহাসিন হকার্স মার্কেট, সিটি মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। তবে ফুটপাতে সবচেয়ে বেশি ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
গতকাল সোমবার নগরীর বিভিন্ন্ন শপিংমল, চকবাজার, পোশাকের শো-রুম ও ফ্যাশন হাউসগুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। নগর ভবন সংলগ্ন ফজলুল হক এভিনিউ, লঞ্চ ঘাট, চকবাজার সড়কের ফুটপাতে ক্রেতা সাধারণের উপচে পরা ভিড়। ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিক ও শ্রমিকরা। নগরীর টপটেন ও ইজি, সেইলর, ইনফিনিটি, ভারগো, প্লাস পয়েন্ট ফ্যাশন হাউজ, নতুনবাজারসংলগ্ন বিশ্বরং, পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন কেজুয়াল পার্কসহ উন্নতমানের ব্রান্ডের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে উপচে পরা ভিড়। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এ বছর সব ধরনের পোশাক ও জুতা অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন দোকানীরা।
ঈদ বাজারে অধিকাংশ ক্রেতাই হচ্ছেন নারী ও শিশু। পোশাক বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে সারারা, গারারা ও নায়রা নামে তিনটি পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে সুতি পোশাকের চাহিদাও রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পোশাকও গত বছরের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নামিদামি থেকে ফুটপাতের দোকান ও হকার্স মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। এবার তরুণীদের সেরা পছন্দের তালিকায় রয়েছে ভারতীয় পোশাক সারারা, গারারা ও নায়রা।
ফুটপাতে সন্তানদের পোশাক কিনতে আসা ছালেহা বেগম বলেন, আমাদের মানুষ একটু কম দামে ভাল মানের পোশাক কিনতে ফুটপাতে আসি। কিন্তু গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। দিনমজুর ক্রেতা আলামিন বলেন, দুই মেয়ের জন্য জামা কাপড় কিনলাম। তবে তুলনামূলকভাবে দাম অনেক বেশি। ব্রান্ডশপ কেজুয়াল পার্কে আসা ক্রেতা সাব্বির ও রাব্বি বলেন, প্যান্ট-টিশার্ট ও পাঞ্জাবি কিনব। এখানে অল্পের মধ্যে ভালো মানের প্যান্ট-টিশার্ট ও পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। অপরদিকে তাদের অনেক বন্ধু-বান্দব অনলাইনে কেনাকাটা করছে। কারণ অনলাইনেও নামিদামি ও বিশ্বস্ত অনেক প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রি করছে।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :