পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী গ্রামের রাজ্জাক মৃধার ছেলে রেজাউল করিম (৩২)। পটুয়াখালী সদর থানায় অন্তত পাঁচটি মামলার আসামি তিনি। তিন বার মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলও খাটতেও হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এবার জেল থেকে বের হয়ে এলাকার দরিদ্র জনগণের ওপর নির্যাতন শুরু করেছেন তিনি। নানা তালবাহানায় হাজার হাজার লাখ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে তাদের কাছে। টাকা দিতে না চাইলে প্রকাশ্যে অপ্রকাশে চালানো হয় নির্যাতন।
বুধবার (৩ মে) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী আসমা ও ৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মনির সিকদার জানান, রেজাউলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই হয়েছেন এলাকা ছাড়া। হামলা ও মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
গত ২৩ এপ্রিল গভীর রাতে রেজাউল করিম দলবল নিয়ে মোসলেম রাড়ির ছেলে ছালাম রাড়ি ও ছালাম রাড়ির ছেলে মিজানুর রাড়ি এবং উত্তর ধরান্দী গ্রামের নয়ন খানের ছেলে হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী আসমা বেগমের ওপর মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন বলে জানান ভুক্তভোগী আসমা বেগম।
এ ঘটনায় হামলার শিকার হয়ে তার স্বামী হাবিবুর পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও জানান তিনি। পরে গত ২৬ এপ্রিল পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে মামলা দায়ের করে। সিআর মামলা নম্বর ৬৩৭/২০২৩।
এদিকে হামলার সময় অন্য দুজন পালিয়ে গেলেও কৌশলে রেজাউল করিমকে ধরে ফেলে হাবিব। পরে স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী রেজাউলকে গণপিটুনি দেন। এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় রেজাউলকে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে যান রেজাউল।
এরপর উল্টো ভুক্তভোগীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে এলাকা ছাড়া করেছেন স্থানীয় দরিদ্র মুসলিম ও হিন্দুদের। দিনের পর দিন পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে যাযাবর জীবনযাপন করতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির সিকদার বলেন, রেজাউল একজন অপরাধী। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে অত্যাচার নির্যাতন করে তাকে এলাকা ছাড়া করা হয়। একজন অপরাধীর কাছে শতশত মানুষ জিম্মি। আমরা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে এর সুন্দর সমাধান চাই। এলাকায় শান্তি চাই।
এসময় উত্তর ধরান্দী এলাকার সুনীল রায় (৫৫) ও তার ভাই জয়দেব রায় (৬০), বশির খান (৪৫), নাসির খান (৫৫), হানিফ হাওলাদার ও মিলন হাওলাদার এবং আব্দুল খানের ছেলে করিম খান উপস্থিত ছিলেন।
Map plugins by Md Saiful Islam | Android zone | Acutreatment | Lineman Training
আপনার মতামত লিখুন :